চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শামিম মাহমুদ প্রকাশ বাপ্পীকে ৮ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব–৭। র্যাব–৭, চট্টগ্রাম ও র্যাব–৩, ঢাকা–এর একটি যৌথ দল গতকাল ইপিজেড এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
র্যাব–৭ আজ জানায়, অপহরণের এক মাস পূর্বে উক্ত মামলার আসামি আসমা ও শামিম মাহমুদ প্রকাশ জহিরুল ইসলাম প্রকাশ বাপ্পী স্বামী–স্ত্রী পরিচয় দিয়ে শিশুটির হাবিবুর রহমানের বাসায় সাবলেট হিসাবে ভাড়া নেয়। ঘটনার দিন সকাল ৭ টার দিকে হাবিবুর রহমানের ৭ মাস বয়সী শিশুকে শামীম মাহমুদ তার সাজানো স্ত্রী আসমা এবং অপরাপর সহযোগীদের সহায়তায় অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শামীম মাহমুদ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপহৃত শিশুর পিতার কাছে মুক্তিপণ হিসাবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। অপহৃত শিশুর পিতা–মাতা নিরুপায় হয়ে প্রাথমিকভাবে বিকাশের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা পাঠায় এবং বিষয়টি চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা থানা পুলিশকে অবহিত করে। খবর বাসসের।
পতেঙ্গা থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম জেলার কর্নেল হাট এলাকা থেকে মূল অপহরণকারী শামিম বাপ্পীকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক আসামির তথ্য মতে একই এলাকা থেকে অপহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরো দুই আসামি আলাউদ্দিন ও তার পাতানো স্ত্রী আসমা বেগমকে আটক এবং অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ সময় শিশুটির পিতা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় বাপ্পীকে মূল আসামি, তার স্ত্রী আসমা বেগম ও আলাউদ্দিনের নাম উল্লেখ করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার ৬ মাস পর আসামি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পলাতক থাকায় আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণশেষে শামিম মাহমুদ বাপ্পীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব–৭ গোপন সূত্রে জানতে পারে, উক্ত শিশু অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শামিম মাহমুদ বাপ্পী নগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড সংলগ্ন খালপাড় এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব–৭ ও র্যাব–৩ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে গতকাল ফেনী দাগনভূইয়ার দক্ষিণ করিমপুরস্থ আব্দুল মান্নানের পুত্র শামিম মাহমুদ বাপ্পী (৩৪)-কে আটক করতে সক্ষম হয়।












