আজকের শিশু আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের হাতেই রয়েছে সামনের পৃথিবীটাকে সুন্দর করার চাবিকাঠি। তাই শিশুদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠার আর কোনো বিকল্প নেই। শিশুরা নরম কাদার মতো। পরিবার, তার আশেপাশের মানুষেরা, সমাজ তাকে যেরূপ দিতে চায়, সে সেই রূপেই বড় হয়ে ওঠে। আর একজন শিশু যখন তার প্রাপ্য অধিকারগুলো পরিপূর্ণভাবে পায় তখন তার সেই সঠিকভাবে বেড়ে উঠার পথটা অনেকটাই সুগম হয়,সুন্দর হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশের খুব কম শিশুই তাদের অধিকারগুলো ভোগ করতে পারে। শিশুদের দাবিদাওয়া মেটানো শুধু বাধ্যতার কাজ নয়, এর অর্থনৈতিক অর্থও রয়েছে। যেসব দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, তারা শিশুদের পিছনে উল্লেখযোগ্য অর্থ ব্যয় করেছে। শিশুদের জন্য বিনিয়োগ না করার ফলে যে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি, তা শিশুদের অধিকার পূরণ করার ব্যয়ের চেয়েও অনেক অনেক গুণ বেশি। তবে কিছু কারণে শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং গণমাধ্যমে তাদের অর্থবহ অংশগ্রহণ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। আবার ইন্টারনেট ব্যবহারের অসংখ্য ভালো দিক থাকলেও শিশুদের জন্য এতে বেশ ঝুঁকি রয়েছে। এত এত সমস্যার ভিড়ে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করে তাদের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে যাওয়াই আমাদের দায়িত্ব। “এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাবো আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। আসুন না আমরা সকলে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার এই কথাগুলো নিজেদের অঙ্গীকার হিসেবে গ্রহণ করি। শিশুদের উপহার দেই তাদের বাসযোগ্য একটি সুন্দর পৃথিবী।