সীতাকুণ্ডে শিশুর কান্না শুনে ঘরে ঢুকে আমেনা খাতুন (২৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার ভোরে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের এমএম জুট মিল কলোনি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আমেনা খাতুন ওই কলোনির ভাড়াটে মো. রাসেলের স্ত্রী। তার দুই বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। আমেনা খাতুন সন্দ্বীপের জামালের মেয়ে ও রাসেল জামালপুর জেলার বাসিন্দা। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি।
প্রতিবেশীরা বলেন, রাসেল তার পরিবার নিয়ে ১৫-১৬ দিন আগে কলোনির ভাড়াঘরে ওঠেন। গত শুক্রবার রাতে পারিবারিক কলহ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বাকবিতন্ডা হয়। ঝগড়ার পর দুজনই চুপচাপ হয়ে যান। শনিবার ভোরে রাসেলের ছেলের কান্নার শব্দে আমরা বাইরে বেরিয়ে আসি। এ সময় আমরা রাসেলের ঘরের দরজা বাইরে থেকে শিকল লাগানো অবস্থায় দেখতে পাই। শিকল খুলে প্রবেশ করলে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় ঘরের মেঝেতে আমেনার মরদেহ দেখতে পাই। তাৎক্ষণিক বিষয়টি থানা-পুলিশে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় আমেনাকে নাক-মুখ চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমেনার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রাসেলকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।