স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের (এনএনএস) লাইন ডাইরেক্টর ডা. এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে দেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারি হাসপাতালের সাথে দেশের বেসরকারী হাসপাতালগুলোকে শিশুবান্ধব হাসপাতালে রূপান্তর করতে সরকার সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারি- বেসরকারী পর্যায়ে ডাক্তার-নার্সদের আরও আন্তরিক হতে হবে। গতকাল সোমবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ‘শিশুবান্ধব হাসপাতাল কর্মসূচিী’ বিষয়ক ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, জন্মের সাথে সাথে মায়ের শাল দুধই শিশুর প্রথম টিকা ও খাবার। শিশুকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে হলে জন্মের পর পর প্রথম ৬ মাস অবশ্যই বুকের দুধ দিতে হবে। এর পর দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি ঘরে তৈরী শিশুর উপযোগী তরল, সুষম ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। তাহলে শারীরিক-মানসিক বিকাশ সাধনসহ শিশুটি বুদ্ধিমান ও মেধাবী হবে। মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে যে সব গুঁড়ো দুধ বাজারে বিক্রি হয় সেগুলো শিশু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বুকের দুধের পরির্বতে এগুলো খাওয়ালে শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগে ও বিভিন্ন জঠিল রোগে আক্রান্ত হয়। হাসপাতাল ও কিনিক্লগুলোতে গুড়োঁ দুধের প্রচারণা বন্ধে ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, সরকারের একার পক্ষে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়। বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও করোনা-ওমিক্রন মোকাবিলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে রাজধানী ঢাকার তুলনায় চট্টগ্রাম এখনো পর্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ডাক্তার-নার্সগণ আরও আন্তরিক হলে শিশুবান্ধব হাসপাতাল ও পরবর্তীতে নারীবান্ধব হাসপাতাল গড়াসহ চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ঈর্ষনীয় সাফল্য আসবে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও জাতীয় পুষ্টিসেবার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. নন্দলাল সূত্রধরের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. শাখাওয়াত উল্লাহ। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টিসেবার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. সুপ্তা চৌধুরী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।