শিশুপার্ক এবার উচ্ছেদ হবে?

চসিকের লিজ বাতিল করে জেলা প্রশাসনের অনুকূলে বরাদ্দ চান ডিসি।। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রস্তাব ।। পার্ক সরিয়ে নিতে বিকল্প জায়গা খুঁজছে চসিক

মোরশেদ তালুকদার | মঙ্গলবার , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

নগরে উন্মুক্ত মাঠের স্বল্পতা দূরীকরণে কাজীর দেউড়িস্থ সার্কিট হাউজ সংলগ্ন শিশু পার্কটি উচ্ছেদে ২০১৪ সাল প্রথম উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ওই সময় পার্কটির ইজারাদারের চুক্তির মেয়াদ বহাল থাকায় সে কার্যক্রম থমকে যায়। পরবর্তীতে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পার্কটি উচ্ছেদের দাবি করেন সচেতন মহল। তবে সে দাবি ‘তোয়াক্কা’ না করে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পূর্বের ইজারাদারের সঙ্গে ১৫ বছরের চুক্তি নবায়ন করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এ ইজারা প্রক্রিয়া নিয়ে মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যাও চেয়েছে চসিকের কাছে। এমনকি চট্টগ্রামের দুই মন্ত্রীও পার্কটি উচ্ছেদের পক্ষে অবস্থান নেন। উচ্ছেদের দাবিতে হয়েছে মানববন্ধনও। এরপরও বহালতবিয়তে আছে পার্কটি।

এ অবস্থায় চসিকের অনুকূলে পার্কটির জায়গার বরাদ্দ বা লিজ বাতিল চেয়ে ২৩ আগস্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, ২৭ আগস্ট সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইস্টার্ন সার্কেলের সামরিক ভূসম্পত্তি প্রশাসক বরাবর দেয়া পৃথক তিনটি দাপ্তরিক পত্র দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। সর্বশেষ গত ১৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইস্টার্ন সার্কেলের সামরিক ভূসম্পত্তি প্রশাসক বরাবর দেয়া আরেকটি পত্রে জায়গাটি জেলা প্রশাসনের অনুকূলে বরাদ্দ চাওয়া হয়। এতে জায়গাটিতে উন্মুুক্ত স্থানসহ মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার প্রস্তাব করা হয়। পত্র দেয়ার বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে চসিককেও। সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইজারাদারের সঙ্গে চুক্তি বহাল থাকায় বিকল্প জায়গা খুঁজছেন তারা। জায়গা পেলে পার্কটি স্থানান্তর করা হবে। এত ইজারাদারও সম্মতি দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, আমরাও পার্কটি উচ্ছেদের পক্ষে। যেহেতু এটা স্মৃতি বিজড়িত জায়গা। চট্টগ্রামে সার্কিট হাউজে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। যুদ্ধের পর সার্কিট হাউজের সামনে এ মাঠটিতে মুক্তিযোদ্ধারা এসে জড়ো হন। এ মাঠেই প্রথম বিজয় মেলার সূচনা হয়। তাছাড়া উন্মুক্ত মাঠেরও সংকট আছে চট্টগ্রামে।

তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়রই পার্কটির চুক্তি নবায়ন করেন। পরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় ড. হাছান মাহমুদ (তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী) উচ্ছেদের বিষয়ে বলেছিলেন। বছরদেড়েক আগে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও (শিক্ষা উপমন্ত্রী) ডিও লেটার দেন। সেজন্য ইজরাদারকে একবার ডেকেছিলাম। তিনি সরে যেতে রাজি। কিন্তু তার বিনিয়োগ রক্ষায় বিকল্প একটা জায়গা দেয়ার প্রস্তাব করেন। আমরা জায়গা খুঁজছি। জায়গা পেলে পার্কটি সরিয়ে নেয়া হবে।

জানা গেছে, ২ দশমিক ৯০৯৪ একর জমিতে পার্কটি রয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে দেয়া চসিকের এক পত্রে বলা হয়, শিশু পার্ক নির্মাণের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনকে দেয়। এরপর ১৯৯২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ‘ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ বছরের জন্য ইজারা দেয় চসিক। ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ১৫ বছরের জন্য ঢাকার ওই একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১৫ বছরের চুক্তি নবায়ন করে চসিক। তবে দ্বিতীয় বার চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত দরপত্র আহবান করা হয়নি। ফলে নবায়নকৃত চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এছাড়া চুক্তি নবায়নের আগে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও নেয়া হয়নি। যা স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইনের লঙ্ঘন। এ বিষয়ে ২০২১ সালের ৭ জুন স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে চসিকের ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়। ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি এর জবাব দেয় চসিক।

এদিকে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস লি. এর সঙ্গে চসিকের সম্পাদিত চুক্তি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এতে ১৭টি শর্ত আছে। এতে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ শেষে অর্থাৎ ইজারার মেয়াদ ১৫ বছর শেষ হলে চুক্তি নবায়নের সুযোগ রাখা হয়। চুক্তি অনুায়ায়ী সিটি কর্পোরেশন প্রতি মাসে রাজস্ব পাবে দেড় লাখ টাকা। তবে প্রতি পাঁচ বছর পর পর ১৫ শতাংশ হারে রাজস্ব বাড়বে। পূর্বে চসিক প্রতি মাসে ৭৫ হাজার টাকা রাজস্ব পেত। এছাড়া চুক্তি নবায়ন করে এককালীন কোনো টাকা পায়নি চসিক। পূর্বে পার্কে প্রতি দর্শনার্থীদের প্রবেশ ফি একটি রাইডসহ ছিল ৫০ টাকা। যা চুক্তির পর বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিন কারণে চসিকের বরাদ্দ বাতিল চায় জেলা প্রশাসন : চসিকের বরাদ্দ বাতিলের জন্য তিনটি কারণ তুলে ধরা হয় জেলা প্রশাসনের চিঠিতে। এগুলো হচ্ছেচট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অবস্থানরত জাতীয় অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুরাতন সার্কিট হাউজের সামনের রাস্তায় যানজট নিরসন এবং চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত মাঠ হিসেবে ব্যবহার।

পত্রে বলা হয়, চট্টগ্রাম দেশের ২য় বৃহত্তম বাণিজ্যিক রাজধানী। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ একটি জাতীয় স্থাপনা। এখানে সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ রাষ্ট্রীয় কাজে অবস্থান করে থাকেন। সার্কিট হাউজ এর পাশে শিশু পার্ক থাকার কারণে সার্কিট হাউজে অবস্থানকারী রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সার্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়ে থাকে এবং শিশুপার্কের কারণে সার্কিট হাউজের সামনের রাস্তায় সারাক্ষণ যানজট সৃষ্টি হয়। সার্কিট হাউজ এবং শিশু পার্কের রাস্তা একই হওয়াই যানজটের কারণে ভিআইপিদের যাতায়াত এবং নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত মাঠের স্বল্পতা রয়েছে। এতে শিশু পার্কের জায়গাটি খেলার মাঠ শ্রেণীর জমি উল্লেখ করে সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে প্রদত্ত ব্যবহার সংক্রান্ত অনুমোদন বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়।

জেলা প্রশাসনের পত্র সূত্রে জানা গেছে, তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জনস্বার্থে জায়গাটি (শিশু পার্ক) ব্যবহারের নিমিত্ত ইজারা বাতিলের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছেন। এছাড়া শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও মন্ত্রণালয়ে এবং সিটি মেয়রকে পার্ককটি উচ্ছেদে আধা সরকারি পত্র দিয়েছেন।

চসিকের বরাদ্দ বাতিলে চিঠি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রামের মানুষের পালস’টা (মনোভাব) আমি জানিয়েছি। এর বাইরে এ মুহর্তে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।

স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রস্তাব : চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইস্টার্ন সার্কেলের সামরিক ভূসম্পত্তি প্রশাসককে দেয়া মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের লক্ষ্যে চসিকের লিজ বাতিল করে জেলা প্রশাসনের অনুকূলে বরাদ্দ চাওয়া হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সৃষ্টির তথা স্বাধীনতা অর্জনে চট্টগ্রামের অনন্য অবদান থাকলেও এখানে স্বাধীনতার স্মৃতি চিহ্ন কিংবা স্বাধীনতার ইতিহাস, কৃষ্টি চর্চা কিংবা ভবিষ্যত প্রজন্মের জানার জন্য উল্লেখযোগ্য কোন স্মৃতি চিহ্ন বা স্মৃতি স্তম্ভ নেই। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় ভবিষ্যত প্রজম্মকে উজ্জীবিত করা এবং স্বাধীনতার ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ধারণ করার নিমিত্ত শিশু পার্কের লিজ বাতিলপূর্বক স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয় পত্রে।

পার্কটি উচ্ছেদের দাবি দীর্ঘদিনের : ২০২১ সালের ৯ মে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিশু পার্কটির ইজারা বাতিলের অনুরোধ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদকে পৃথক দুটি আধা সরকারি পত্র দেন। এতে নওফেল দাবি করেন, ‘ইজারা চুক্তি সরকারের পূর্বানুমোদনক্রম ব্যতিরেকে করা হয়, যা সিটি কর্পোরেশন আইন২০০৯ এর সুস্পষ্ট ব্যত্যয়।’

নওফেল বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশন আইন ২০০৯ এর ৮০ ()() ধারায় বলা হয়েছে, কর্পোরেশন সরকারের পূর্বনুমোদনক্রমে দান, বিক্রয়, বন্ধক, ইজারা বা বিনিময়ের মাধ্যমে অন্য কোনো পন্থায় যে কোনো সম্পত্তি অর্জন বা হস্তান্তর করতে পরবে। তাই পার্ক ইজারায় সরকারের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে প্রতীয়মান হয়। উল্লিখিত আইনবর্হিভূতভাবে পার্কটি হস্তান্তরের ফলে দর্শনার্থীদের বেড়ানোর খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে যা মোটেই কাম্য নয়।

এর আগে ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শিশু পার্কটিকে ‘জঞ্জাল’ আখ্যায়িত করে অপসারণের দাবিতে পার্কের সামনে ‘নাগরিক উদ্যোগ’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন হয়েছিল। সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। দায়িত্বপালনকালেও তিনি পার্কটি উচ্ছেদের চেষ্টা করেছিলেন এবং বিকল্প স্থানে পার্ক করতে পাহাড়তলী ও খুলশী এলাকায় দুটি পরিত্যাক্ত জায়গা বাছাই করেছিলেন। এর আগে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারিও ‘নাগরিক উদ্যোগ’র ব্যানারে উচ্ছেদের দাবিতে পার্কের সামনে মানবন্ধন হয়েছিল। সেখানে অংশ নিয়ে খোরশেদ আলম সুজন পার্কটি সরিয়ে নিতে তৎকালীন সিটি মেয়রকে অনুরোধ করেছিলেন।

এর আগে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সভায় তৎকালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে পার্কটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই সময় বলা হয়েছিল, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বপ্রাপ্ত) নিজেই সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন পার্কটি উচ্ছেদে ব্যবস্থা নিতে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকও করেন ওইসময়। পরবর্তীতে একই বছরের এপ্রিল মাসে জেলা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল বিষয়টির অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে চসিকের স্টেট বিভাগের সাথে কয়েক দফা বৈঠকও করেছিলেন।

এর আগে ২০০৯ সালের ৬ মে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তৃতীয় সভায় শিশু পার্কটি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও পর্যটন কর্পোরেশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। পরবর্তীতে একই বছরের ১৪ অক্টোবর চসিকের পক্ষ থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে পত্র দিয়ে শিশু পার্ক তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ১৩ জুলাই তিন একর জায়গার উপর শিশুপার্ক স্থাপনে চসিককে অনাপত্তি দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ২০০৮ সালের ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের তৎকালীন এঙিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ নুরুল আবছার স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে সেনাবাহিনী নিজেদের জমি ফেরত চান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বন্দরে কমছে জাহাজের আনাগোনা
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু