প্রায় ১ বছর ৩ মাস হতে চলেছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ মহামারী করোনা ভাইরাস ( কোভিট – ১৯) এর কারণে। একজন শিশুকে বাড়িতে যতই বিনোদনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক না কেন সে কখোনই বেশি দিন মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবে না। ইদানীং দেখা যাচ্ছে ওদের মাঝে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন একটা জায়গা যেখানে একজন শিশুর সুস্থ মানসিকতার বিকাশ ঘটে। বন্ধু বান্ধব, খেলার মাঠ, একসাথে বসে টিফিন খাওয়া, শিক্ষক, শ্রেণি কক্ষ এসব হলো একজন শিশুর সামাজিক ভাবে বেড়ে ওঠার মূল্যবান উপকরণ। অনলাইন ক্লাস কখনোই একজন শিক্ষার্থীর জন্য ক্লাস রুম শিক্ষার সমান হতে পারেনা। এ কেবল শহর ভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর বিলাসিতা মাত্র। শহরের বাইরে কোনো লেখা পড়াই হচ্ছে না। এটা খুবই স্বাভাবিক। ছোট্ট শিশুরা যারা এখনো শিক্ষকের আঁচল ধরে লেখাপড়া করে তাদের জন্য অনলাইন ক্লাস কোনো অবস্থাতেই ক্লাসরুম ক্লাসের পরিপূরক হতে পারে না। তা ছাড়া সকল শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে আসেও না। আমি মনে করি, অতি সত্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ভিড় কমানোর জন্য ক্লাসগুলোকে ভাগ করে ৩ দিন করে ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। বাড়িতে বসে বসে শিশুরা অলরেডি বেশ অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেছে। মোবাইল আসক্তি হয়ে পড়েছে। একটু বড় যারা তারা ঠিকই ৩/৪ ঘন্টা বাইরে কাটিয়ে আসছে। তাই সার্বিক বিবেচনায় অতি সত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হোক।