চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শরীফ উদ্দিন বলেছেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারা আমাদের চেয়ে অনেক স্মার্ট। শিশুদের বাসযোগ্য দেশ গড়তে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। শিশুরা কিছু একটা বলার চেষ্টা করলে ‘থামো’ এ কথাটি পরিহার করতে হবে, তারা কি বলতে চায়–তা যেন আমরা সকলেই প্রাধান্য দিই। সন্তান অযোক্তিক কিছু বলার চেষ্টা করলে তাকে বুঝাতে হবে। কারণ তারাই আগামীতে নতুন দেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। কোন শিশু আনন্দ–বিনোদন থেকে বঞ্চিত হতে পারবে না। এ জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি তাদেরকে নীতি–নৈতিকতা শেখানোসহ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। তিনি গতকাল সোমবার জেলা শিশু একাডেমি আয়োজিত বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা শিশু একাডেমি আয়োজিত দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘শিশুর কথা শুনব আজ, শিশুর জন্য করব কাজ’। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও এনজিও সমূহের সহযোগিতায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শরীফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে যন্ত্রসংগীত, নাটক, দলীয় সংগীত, দলীয় নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়।
শিশু একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোছলেহ্ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও একাডেমির প্রশিক্ষক তানভীরুল ইসলাম নাহিদের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কিডস্ কালচারাল ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী প্রফেসর ড. সৌরভ সাখাওয়াত, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক আতিয়া চৌধুরী ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ইলমা’র প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু। বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমির আবৃত্তি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দেবদুহিতা ঘোষ ও আকিব বিন ওয়াহিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. সৌরভ সাখাওয়াত বলেন, শিশুদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে আমরা সবাই কাজ করতে চাই। এজন্য সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে শিশুবান্ধব নগর প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে শিশুদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাসহ বাসযোগ্য নগর গড়ে উঠবে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে শিশু একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোছলেহ্ উদ্দিন বলেন, আমরা জিও–এনজিওসমূহের সমন্বয়ে শিশুবান্ধব নগর গড়তে চাই। এ লক্ষ্যে চসিক উদ্যোগ নিয়েছে। কোন শিশু যাতে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বাদ না পড়ে সে বিষয়টি দেখতে হবে। শিশুদের নিয়ে বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহযোগিতায় ছিলেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা–ওয়ার্ল্ড ভিশন, ইপসা, মমতা, ঘাসফুল, কারিতাস, ব্র্যাক, কিডস্ কালচারাল ইনস্টিটিউট, বনফুল, কোডেক, অপরাজেয় বাংলাদেশ, প্রত্যাশী, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম, উষা নারী উন্নয়ন সংস্থা, সংশপ্তক, ইকো ফাউন্ডেশন, টিআইবি, এসওএস শিশু পল্লী, স্বপ্নীল ব্রাইট ফাউন্ডেশন, যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, ইলমা, দৃষ্টি ও ভোরের আলো। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।