শারীরিক–মানসিক স্বাস্থ্যে,শিক্ষায়,চিন্তায়–চেতনায় ও মননে শিশুরা যত সমৃদ্ধ হবে জাতির ভবিষ্যত ততই শক্তিশালী হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে শিশু সুরক্ষার কথা বলা হলেও শিশুদের সার্বিক পরিস্থিতি মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়।বেঁচে থাকার তাগিদে বহু দরিদ্র শিশু তাদের বিকাশের অধিকার, জীবন যাত্রার মান,ভোগ ও বিনোদনের অধিকার সহ নানা রকম অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় অভিভাবকরা অভাবের তাড়নায় তাদের শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করছেন। আবার ছিন্নমূল শিশুরা পেটের তাগিদে নিজেরা টোকাই হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত হচ্ছে।কোন কোন ক্ষেত্রে নানা অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে।
অধিকাংশ পরিবারে ভাঙ্গনের ফলে অনেকে হয়ে উঠছে পথ শিশু। এইসব শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেকে নির্মম ভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তারা পথে ঘাটে অনিরাপদ অবস্থায় থাকে। এই সকল ছিন্নমূল আশ্রয়হীন শিশুদের নেই কোন বাড়িঘর। অনেকের মা–বাবা ও কোন অভিভাবকও নেই। বিরাট অংশের এই শিশুরা বাস্তবে জীবন যাপন করতে গিয়ে নানা রকম কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে। অনেকে নানা অপরাধমূলক কাজে ও কেউ কেউ নেশার জগতে প্রবেশ করছে। এদেরকে ব্যবহার করা হয় নানা রকম রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো এদের নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। সমাজ থেকে লাঞ্চিত ও বঞ্চিত এই সকল শিশুরা প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।মেয়ে শিশুরা ধর্ষিত হচ্ছে। নানান দেশে পাচার করা হচ্ছে শিশুদের। কিছু মানুষ রূপি পাষন্ডের কাছে শিশুরা আজ অসহায়। সুবিধা বঞ্চিত এই সকল শিশুদের জীবন রক্ষায় সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। অবহেলিত শিশুরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের প্রতি সহিংস আচরণ বন্ধ করতে হবে এখনই। তাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে সুশিক্ষিত করতে হবে। শিশুদের জন্য গড়ে তুলতেহবে নিরাপদ পৃথিবী।
মুহাম্মদ বাবুল হক বাবর,
চট্টগ্রাম