বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির। তাই টিভি, মোবাইল ও ডিজিটাল ডিভাইস এখন সবার হাতের নাগালে। তবে ক্রমশ ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আসক্তি বাড়ছে শিশুদের। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ। আজকাল দেখা যায় হাতে মোবাইল ফোন না দিলে খেতেও চাইনা শিশুরা। এভাবে ধীরে ধীরে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা। এছাড়া মোবাইল ফোনের ব্যবহার তাদের সৃজনশীলতা নষ্ট করে দেই ও স্থূলতা, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হওয়ার মত সমস্যাও দেখা দেয়। তাই বাবা-মা এক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
শিশুরা সাধারণত অনুকরণ প্রিয়। তাই শিশুদের সামনে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার হ্রাস করা, সন্তানদের সাথে অধিক সময় কাটানো, পারিবারিক ও সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও প্রযুক্তির আসক্তি কমানো যেতে পারে। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তির নেতিবাচক বিষয়ে সচেতনেতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশুদের মানসিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। আজকের শিশু আগামী দিনের সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। তাই, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষায় সন্তানদের ক্ষতিকর প্রযুক্তির ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র নির্বিশেষে সকলের সচেতনতায় পারে সুন্দর প্রজন্মের রূপ দিতে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।