বাঁশখালীর বৈলছড়িতে এক শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে রাস্তা থেকে টেক্সি খাদে পড়ে শফিউল আলম জিহাদী (৬০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ওই শিশুসহ আহত হয়েছেন ৩ জন। গতকাল শনিবার সকালে বাঁশখালীর প্রধান সড়কের বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া কেবি কনভেনশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা হয়। আহত শিশু মারুফা আক্তারকে (৯) চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে চট্টগ্রামগামী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চেচুরিয়া কেবি কনভেনশন পৌঁছালে শিশু মারুফা আক্তার দ্রুত রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টেক্সিটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। গাড়িতে চালকসহ ৪ যাত্রী ছিলেন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে শফিউল আলম জিহাদীর মৃত্যু নিশ্চিত হয়। তিনি পেকুয়া উপজেলার ছিরাদিয়া ৩নং ওয়ার্ড এলাকার নুরুল হুদার ছেলে। অপরদিকে আহত মারুফা আক্তারকে আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সে বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চেচুরিয়া এলাকার নাছির আহমদের কন্যা। তবে টেক্সিচালক আবদুর রহিম (৩০) আহত হলেও ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। অপর এক আহত মো. ফোরকান জানান, আমি চালকের পাশে ছিলাম, মেয়েটি রাস্তা পার হওয়ার সময় চালক হঠাৎ কন্ট্রোল করতে না পেরে পাশের খাদে ফেলে দেয় গাড়িটি। আমার গায়ের উপর পড়লেও আমি মেয়েটিকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছি। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
নিহত শফিউল আলম জিহাদী চট্টগ্রামে একটি মসজিদে চাকরি করেন বলে জানান তার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে মো. মিনহাজ ইউসুফ মিয়া। তিনি জানান, তারা ৫ ভাইবোন, তার মধ্যে এক ভাই মারা যায়। শনিবার সকালে বাবা–মাসহ বাঁশখালীতে এক হজুরের কাছে আসেন। সেখানে মাসহ তাদের রেখে বাবা শফিউল সাতকানিয়া এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হীরক কুমার পাল জানান, সড়ক দুঘর্টনায় ৩ জন হাসপাতালে আসলে ১ জন মারা যায়, ১ জনকে চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে, ফোরকান নামে একজন ভর্তি রয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরপর বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হতাহতদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে থানার অফিসার ইনচার্জ র্(ওসি) মো. কামাল উদ্দিন জানান।