তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নবনির্বাচিত প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ পরিচালনা পর্ষদের নেতাদের সাথে সাক্ষাত করেছেন শিল্প পুলিশ-৩ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুলাইমান।
গতকাল সোমবার নগরীর খুলশীতে বিজিএমইএর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাক্ষাতকালে শিল্প পুলিশ এবং ব্যবসায়ী একযোগে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে পোশাক শিল্প টিকবে কিনা অনেকই সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তে এ শিল্প ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে পেরেছে। যদিও বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে, তবুও এ দেশের অবহেলিত নারী সমাজের ক্ষমতায়ন ও অর্থনীতির প্রাণশক্তি এ শিল্পকে সচল রাখতে তিনি সংশ্লিষ্ট সব মহলের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন।
শিল্প পুলিশ-৩ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুলাইমান বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিক অসন্তেুাষ নিরসনসহ শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যেই শিল্প পুলিশ গঠিত হয়েছে। শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তার স্বার্থে সার্বক্ষণিক মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে শিল্প পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রাখা এবং গার্মেন্টস শিল্পের নিরাপত্তা রক্ষায় শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মো. হাসান জেকি, সাবেক পরিচালক আ ন ম সাইফ উদ্দিন, মোহাম্মদ মুসা, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রানী সাহা, সহকারী পুলিশ সুপার সুদীপ ত্রিপুরা ও মো. জসিম উদ্দিন। বক্তারা জাতীয় অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের অবদান উল্লেখ করে এ শিল্প রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালক তানভীর হাবিব, এএম শফিউল করিম খোকন, এম এহসানুল হক এবং শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।







