সাম্প্রতিক সময়ে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ কর্তৃক স্থানীয় পত্রিকায় ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে ‘শিল্পখাতে গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত’ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ‘এতদ্বারা কেজিডিসিএল অধিভুক্ত এলাকার গ্যাস সংযোগ প্রত্যাশী শিল্পদ্যোক্তাদের সদয় জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, গ্যাস সঞ্চালন/বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে যেখানে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে শিল্প স্থাপন নিরুৎসাহিত করার জন্য পরিকল্পিত শিল্প অঞ্চল যথা অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিসিক, বেপজা, প্রতিষ্ঠিত শিল্পনগরী, বেসরকারি ইপিজেড ব্যতীত অন্য কোন স্থানে শিল্প শ্রেণিতে আগামী ৩১ মার্চ ২০২১ এর পর কোন গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হবে না। এ সময়ের মধ্যে চলমান আবেদন সমূহের ডিমান্ট নোট ও সংযোগসহ সকল কাজ সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে”। বিজ্ঞপ্তির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক কিছু বাস্তবভিত্তিক প্রস্তাবনা তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
প্রথমেই অপরিকল্পিতভাবে শিল্পস্থাপন নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও পরিকল্পনাকে আমরা স্বাগত জানাই। উন্নত দেশ গড়তে হলে বাস্তবভিত্তিক আধুনিক ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। সেক্ষেত্রে কেজিডিসিএল এর বিজ্ঞপ্তি সঠিক ও সময়োপযোগী। কিন্তু শিল্প স্থাপনের জন্য যে সময়সীমা দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে শিল্পদ্যোক্তাদের মাঝে দ্বিমত রয়েছে এবং ইতিমধ্যে তাঁদের মাঝে এ বিষয়ে বিরূপ পক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
২০০৯ এর ২৭ অক্টোবর হতে চট্টগ্রামে শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ ছিল। মাঝে দুয়েকবার স্বল্প পরিসরে গ্যাস সরবরাহ হলেও ২০১২ হতে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার কারণে চট্টগ্রামে ৪০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ নষ্ট হয়ে যায়। চট্টগ্রামের শিল্পায়নের এ চরম সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। দেশের শিল্পায়নের এ চরম সংকটে তিনি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে গ্যাসের সংকট মেটানোর পরিকল্পনা নেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং এ সেক্টরের দায়িত্বে থাকা মাননীয় উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী মহোদয়ের পরিকল্পনায় পেট্রোবাংলার নেতৃত্বে অচল শিল্প কারখানায় ক্যাপটিভ ও শিল্পখাতে গ্যাস সংযোগ প্রদানের ব্যবস্থা নেয়।
দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে কেজিডিসিএল এর সংযোগ এ প্রক্রিয়াগত জটিলতা এবং জামানত পরিশোধ করে সংযোগ না পাওয়াসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে শিল্পোদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের মাঝে কেজিডিসিএল এর প্রতি এক প্রকার আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়। কেজিডিসিএল এর প্রতি শিল্পদ্যোক্তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এবং গ্যাস সংযোগ নেয়ার আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্য এবং গ্যাস সেক্টরের প্রতি গ্রাহকদের যে আস্থাহীনতা তা দূরীভূত করে আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র চট্টগ্রাম’ এ চেম্বারের পরিচালনা পরিষদ এবং ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোক্তাদের সাথে মাননীয় জ্বালানী উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উর্ধ্বতন নীতিনির্ধারনী মহলের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ হতে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের মাধ্যমে কিছু সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হয়। এসব সুপারিশ সমূহের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে মাননীয় উপদেষ্টা সহমত পোষণ করেন এবং পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। দেশের এলএনজি সরবরাহের নিরবচ্ছিন্নতা এবং কেজিডিসিএল এর আন্তরিক সহযোগিতায় ইতিমধ্যে সংযোগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দেশে গ্যাসের সংকট এবং চাহিদা মেটানোর জন্য এলএনজি (লিকুফাইড ন্যাচরাল গ্যাস) আমদানি করা হচ্ছে। বিগত তিন বছরে ৫ হাজার ৬১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪টি পাইপ লাইন চালু করা হয়েছে। এখনো এলএনজির সরবরাহ পুরোদমে শুরু করা সম্ভব হয়নি। মহেশখালিতে নির্মিত দুই এফ.এস.আর.ইউ মাধ্যমে দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেয়ার সক্ষমতা থাকলেও আরপিজিসিএল এর ভাষ্য অনুযায়ী ৭ শত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। পেট্রোবাংলার হিসেবে জানুয়ারি ২০২০ এ দেশে গ্যাস সরবরাহ করা হয় মোট গড়ে ৩ হাজার ১৬৭ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ৫৯২ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি।
৩১ অক্টোবর ২০২০ এর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ৩ হাজার ১৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ দেয়া হয়েছে। দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্র হতে ২ হাজার ৪৪৭ মিলিয়ন ঘনফুট এবং এলএনজি ৭০১ মিলিয়ন ঘনফুট। এ হিসেবের মধ্যে চট্টগ্রামের জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীকে দেয়া হয়েছে মাত্র ৩৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
শিল্পোদ্যোক্তাদের অভিযোগ রয়েছে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্যাস নির্ভর শিল্প গড়ে উঠছেনা। আবার গ্যাস সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। সে কারণে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে শতভাগ সুফল মিলছেনা। (সূত্র : ২ অক্টোবর ২০২০, দৈনিক আজাদী)
সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মহামারীর কারণে শিল্প স্থাপন প্রক্রিয়া এবং গ্যাস সংযোগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। যে সকল উদ্যোক্তা শিল্প স্থাপনের জন্য জায়গা ক্রয় করে শিল্প স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে তারাও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ে। একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন, জায়গা ক্রয়, অর্থের সংস্থান, অবকাঠামোগত স্থাপনা নির্মাণ এবং বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন গ্রহণ করতে ৪/৫ বছর সময়ের প্রয়োজন। এখন যারা সকল প্রকার অনুমোদন গ্রহণ করেছে তারা যদি শিল্প স্থাপন নির্মাণ কাজ শুরু করে শেষ করতে ২/৩ বছর সময়ের প্রয়োজন হবে। এছাড়াও শিল্প স্থাপনের জন্য সরকারের যে সকল বেজা, বেপজা বা বিসিকের জন্য জায়গা অনুমোদন হয়েছে সে সকল স্থান শিল্প স্থাপনের জন্য প্রস্তুত হতে কমপক্ষে আরো ৪/৫ বছর সময়ের প্রয়োজন হবে। সুতরাং নতুন সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি না করে চলমান সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার মানেই হলো, দেশে শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। হাজারীবাগের ট্যানারী শিল্প স্থানান্তর প্রক্রিয়া তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
সুতরাং কেজিডিসিএল যে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে তা সংশোধন করে ৫ বছরের সময়সীমা নির্ধারণ করে নিরবচ্ছিন্নভাবে সকল স্টেক হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল সমূহে অভিহিত করলে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, নতুন আবেদনকৃত গ্রাহকদেরকে ‘ক্যাপটিভ খাতে’ গ্যস সংযোগ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। অনুমোদনের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিভিন্ন রকম নিয়মের মারপ্যাচে প্রক্রিয়া জটিল করা হচ্ছে। যদিও এবিষয়ে কোন লিখিত নির্দেশনা নেই। এবিষয়ে যুক্তি হলো দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাস্তব অবস্থা কি? তা জানা প্রয়োজন। পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এখনো বিদ্যুতের ঘনঘন আসা যাওয়া, লোডশেডিং, সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকা এগুলোর সমস্যা এখনো প্রবল। এছাড়া ভোল্টেজ আপ-ডাউন সহ কোয়ালিটি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছেনা বিদ্যুৎ বিভাগ। যার কারণে শিল্প কারখানায় স্থাপিত আধুনিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকায় নষ্ট হচ্ছে উৎপাদন প্রক্রিয়া, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উৎপাদন। এসব কারণে শিল্পদ্যোক্তারা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে গ্যাস জেনারেটর আমদানি করে নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করছে। কারণ তাদের বিনিয়োগ বেশি হলেও নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার কারণে কারখানায় স্থাপিত মেশিনারীজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া হতে রক্ষা পাচ্ছে এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া সচল থাকছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং কর্তৃপক্ষকে বাস্তবতা উপলদ্ধি করতে হবে। দেশের শিল্পায়নের প্রয়োজনে বিষয়গুলোর গুরুত্ব বিবেচনায় ক্যাপটিভ খাতে গ্যাস সংযোগ প্রদানের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল চট্টগ্রামের শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সংযোগ প্রদান এবং দ্রুততম সময়ে সংযোগ প্রক্রিয়া সমাধান করা। কিন্তু বর্তমানে কেজিডিসিএল জনবল সংকটে ভুগছে জনবল সংকটের কারণে প্রক্রিয়াগত জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং মানসম্মত সেবা গ্রাহক পাচ্ছেন না। ফলে শিল্প গ্রাহক পর্যায়ে কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে। কেজিডিসিএল প্রতিষ্ঠার জন্য চট্টগ্রামের আপামর শিল্প উদ্যোক্তা, রাজনীতিবিদ সহ সকল শ্রেণির মানুষের সম্পৃক্ততা ছিল। সে সময়ে জননেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের সরাসরি আন্দোলন প্রক্রিয়ায় সে সময়কালের পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা আইয়ুব খান চৌধুরীর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আইয়ুব খান চৌধুরীর সহযোগিতা ও পরামর্শে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ প্রতিষ্ঠা হয়। পরবর্তীতে কেজিডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কেজিডিসিএলকে অনন্য এক সম্মানের আসনে তুলে আনেন। সিস্টেমলসকে বিদায় করে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসেন। কেজিডিসিএল হতে দুর্নীতিবাজ, সুযোগ সন্ধানীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে এবং সংযোগের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে আনেন। এছাড়াও চট্টগ্রামের স্টেক হোল্ডার, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পরামর্শে তিনি কেজিডিসিএলকে সমগ্র পেট্রোবাংলার জন্য আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মানজনক আসনে নিয়ে আসতে সক্ষম হন। চট্টগ্রামের প্রতি মমত্ববোধ, ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ এবং দক্ষতার কারণে তিনি সরকারের উর্ধ্বতন মহলে প্রশংসিত হন। বর্তমানে তিনি পেট্রোবাংলায় পরিচালক (প্লেনিং) হিসেবেও দক্ষতার সাথে চট্টগ্রামের স্বার্থের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কেজিডিসিএল এ আইয়ুব খানের প্রশাসনিক দক্ষতা এবং উন্নয়ন ও কোম্পানী পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরবচ্ছন্ন সফলতার ধারাবাহিকতায় বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়েজ আহমদ মজুমদার দক্ষতার সাথে প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছেন।
ধারাবাহিক সফলতা এবং কার্যদক্ষতার কারণে কেজিডিসিএল এর প্রতি গ্রাহকদের প্রত্যাশা অনেক। সে কারণে গ্যাস সংযোগের বিষয়ে অপ্রত্যাশিত ও অযৌক্তিক কিছু সিদ্ধান্তের কারণে অনেক সময় কেজিডিসিএল এর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে কেজিডিসিএল এর কিছু সিদ্ধান্ত যেমন নির্ধারিত স্থান ব্যতীত শিল্প গ্যাস সংযোগের বিষয় এবং ক্যাপটিভ শ্রেণিতে গ্যাস সংযোগে নিরুৎসাহিত এবং প্রক্রিয়াগত জটিলতায় শিল্পোদ্যোক্তার মাঝে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হলেও বর্তমানে কেজিডিসিএল এর সেবার মান এবং কাজের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। যদিওবা জনবলের সংকটের কারণে অনেক সময় সঠিকভাবে সেবা দেয়া সম্ভব হয় না। তবুও এবিষয়ে কেজিডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা সজাগ দৃষ্টি রাখেন বলে মনে হয়। এছাড়াও ২৫ হাজার আবাসিক সংযোগ নিয়ে জটিলতা সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান জরুরি।
লেখক : প্রাবন্ধিক; সম্পাদক: শিল্পশৈলী