চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে শিল্পোন্নয়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু সেই শিল্পকে হতে হবে পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব। শিল্পের জন্য কোনো কৃষিজমি বিনষ্ট করা যাবে না। বনভূমি ধ্বংস করা যাবে না। জীববৈচিত্র্য নষ্ট করা যাবে না। মাটি, পানি, বায়ু ও শব্দদূষণের মাধ্যমে উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের জীবনকে বিপন্ন করে তোলা যাবে না। শিল্পে ব্যবহৃত জ্বালানি হবে নবায়নযোগ্য আর উৎপাদিত পণ্যও হবে পরিবেশবান্ধব।
গতকাল বুধবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ম্যাটেরিয়ালস এন্ড ম্যাটালর্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (এমএমই) এমএমই ডে উপলক্ষে আয়োজিত ‘মটাফোর্জ ১.০’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেকানিক্যাল এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. ইকবাল করিম। কী–নোট স্পীকার ছিলেন জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের স্টিল মেল্ট শপের হেড প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম ও আবুল খায়ের স্টিল মেল্টিং লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার (কিউএডি) প্রকৌশলী মো. মুগনিউল হাসান।
ম্যাটেরিয়ালস এন্ড ম্যাটালর্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমএমই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ আহম্মদ। সভা সঞ্চালনা করেন এমএমই ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ সাজিদ মাহমুদ ও আফরোজা বিনতে সরওয়ার। টাইটেল স্পন্সর ছিলো মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এবং কো–স্পন্সর ছিলো গ্রীন বোর্ড (সিস্টার কনসার্ন অব টি কে গ্রুপ)।
উল্লেখ্য, এবারের মেটাফোর্জ ১.০ এর মূল উদ্দেশ্য হল উপাদান, উৎপাদন ও যান্ত্রিক প্রকৌশলের নতুন দিক সম্পর্কে তরুণ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করা এবং পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। দিনব্যাপী এ উৎসবে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা। এর মাধ্যমে চুয়েটের এমএমই বিভাগে চলমান গবেষণা, উদ্ভাবন ও শিল্পসংযোগ আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












