তিন দিনব্যাপী শিশু–কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছে শিশুদের সাংস্কৃতিক জগৎ ফুলকি। আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক সুকুমার বড়ুয়া। কাল শুক্রবার সকালে শিশু–কিশোর সমাবেশে অতিথি থাকবেন সাহিত্যিক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক। শনিবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও জাদু প্রদর্শনের মাধ্যমে এ উৎসবের শেষ হবে।
আয়োজকরা জানান, তিনদিনের এ উৎসবে কারাতে পরিবেশনা, শিশু সমাবেশ, নাটক, ব্রতচারী নৃত্য, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, জাদু প্রদর্শনী, চিত্র প্রদর্শনী, শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন রয়েছে। বাঁশি, তালপাখা, শীতল পাটি, ছাপচিত্র, ক্র্যাফট ও মাটি দিয়ে তৈরি জিনিসপত্রের কর্মশালায়ও অংশ নেবে শিশু–কিশোররা। ৯ থেকে ১৬ বছরের সকল শিশু–কিশোর নিবন্ধনের মাধ্যমে এ কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। নন্দনকাননের ফুলকি প্রাঙ্গণে নিবন্ধন করা যাবে। এছাড়া কর্মশালার দিন (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দশটা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমির উৎসব প্রাঙ্গণেও নিবন্ধনের সুযোগ পাবে শিশু–কিশোররা। গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
নগরীর নন্দনকাননের ফুলকি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উৎসব আয়োজনের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ফুলকি সভাপতি, একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক আবুল মোমেন ও ফুলকির সর্বাধ্যক্ষ শীলা মোমেন। এসময় ফুলকি ট্রাস্টের সম্পাদক সাংবাদিক ওমর কায়সার ও শিক্ষক রত্না দে উপস্থিত ছিলেন।
আবুল মোমেন বলেন, ফুলকি শুরু থেকেই শিশুদের আনন্দময় শিক্ষা প্রদান করে আসছে। পড়ালেখায় সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। এর অংশ হিসেবে শিশুদের সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে চলেছে। শিশু–কিশোর উৎসব তারই ধারাবাহিকতা। আক্ষেপ করে আবুল মোমেন বলেন, ঢাকার বাইরেও অনেক কাজ হয়। কিন্তু ঢাকার বাইরে বলে সেভাবে প্রচারে আসেনা।
‘শিশুদের জন্য আমরা’ স্লোগানে ৩য় বারের মতো এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে শীলা মোমেন বলেন, প্রতিবছরই আমরা এ উৎসবের আয়োজন করে থাকি। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে ৩ বছর পর এবার এ উৎসব হচ্ছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা এ শিশু–কিশোর উৎসব আয়োজন করে যাচ্ছি।
নানা আয়োজনে তিনদিনের এ উৎসব সাজানো হয়েছে। এসব আয়োজনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি শিশু–কিশোররা উপভোগও করতে পারবে। ফুলকির বাইরে আরো বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এ উৎসবে শামিল হচ্ছে। তারাও সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নেবে।