শিম বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ ও এর ফল। বাংলাদেশে শীতকালীন সবজি হিসেবে এটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত। শিমের আদি নিবাস ভারত ও বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই বিভিন্ন প্রজাতির শিমের চাষ হয়। মাচা বা ভারা বেঁধে দিলে তা আশ্রয় করে শিম গাছ বেড়ে ওঠে। পাতা তিন পত্রফলকে বিভক্ত। পুষ্পদণ্ডের বিন্যাস চিকন শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত। একেকটি পুষ্পদণ্ডে অনেকগুলো ফুল হয়। ফুল সাধারণত সাদা, গোলাপি, লালচে বেগুনি- এই তিন রঙের হয়ে থাকে। ফুল থেকেই শিম হয়। শিম দেখতে চ্যাপ্টা ও লম্বাটে। লম্বায় পাঁচ থেকে তেরো মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। প্রতিটি শিমে থাকে পাঁচ থেকে সাতটি বীজ। এই বীজ থেকে শিমের বংশবৃদ্ধি হয়। শিমের বীজ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। এই বীজ শুকিয়ে বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়। শিমে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাস। সব ধরনের মাটিই শিম চাষের উপযোগী।
তবে খোলামেলা আবহাওয়া ও পলিমাটিতে এর চাষ ভালো হয়। বাংলাদেশে চাষ হচ্ছে এমন জাতের শিমের মধ্যে রয়েছে ঘৃতকাঞ্চন, কার্তিক, বাঘনখা, নলডক প্রভৃতি। এছাড়া বিদেশি কিছু জাতও ভালো ফলন দেয়। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ফ্রেঞ্চবিন।