শিবির ক্যাডার সরওয়ার ও সহযোগী পাঁচ দিনের রিমান্ডে

বহদ্দারহাটে হত্যাকাণ্ড, পুলিশ বক্স ও থানায় হামলা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৯ জুলাই, ২০২৪ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

কোটা আন্দোলন ঘিরে নগরীর বহদ্দারহাটে হত্যাকাণ্ড এবং পুলিশ বক্স ও থানায় হামলার মামলায় দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সারোয়ার হোসেন প্রকাশ সরওয়ার ও তার সহযোগী সাহেদ বাবুলের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহ এ দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সরোয়ার ও তার সহযোগীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। বিচারক তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার রাত ৯টার দিকে সরওয়ার ও তার সহযোগী সাহেদ বাবুলকে বায়েজিদ থানাধীন চালতাতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল কবীর বলেন, ১৮ জুলাই কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে বহদ্দারহাট এলাকায় হত্যাকাণ্ড এবং পুলিশ বক্স জ্বালানো, থানায় হামলাসহ নাশকতার ঘটনায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের তথ্যমতে, সরওয়ার সিএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তিনি নগরীর বায়েজিদ থানার কালা মুন্সির বাড়ির খোন্দকারপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রায় ১৯টি মামলা রয়েছে। ২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর প্রবর্তক মোড়ে একটি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র থেকে ১১ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় আলোচনায় আসেন সরওয়ার। একই বছরের ৬ জুলাই বায়েজিদ এলাকা থেকে তাকে একে৪৭ রাইফেল ও গুলিসহ আটক করা হয়।

পুলিশের তথ্যমতে, ২০১৭ সালে জামিনে বেরিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যাক্সন (নিহত) ও সরওয়ার কাতারে আত্মগোপনে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে এক গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফোনে চাঁদা দাবি করেন সরওয়ার, ম্যাক্সন ও একরাম। তাদের হয়ে চাঁদাবাজির কাজ করত অনুসারীরা। তাদের কথামতো চাঁদা না দেওয়ায় একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বায়েজিদের নয়াহাটে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। এরপর কাতারে বসে বাংলাদেশে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে বাংলাদেশে পৌঁছলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৮ জুলাই বহদ্দারহাট জুড়ে কোটা আন্দোলনের নামে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, সে ঘটনায় অন্যতম সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করেছিলেন সরওয়ারএমনটাই দাবি পুলিশের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেনার জট
পরবর্তী নিবন্ধপরিবারকে আশ্বস্ত করলেন হারুন