চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আমদানিকৃত পণ্য খালাসের সাথে জড়িত বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনে প্রশাসক নিয়োগের অনুরোধ জানিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। অ্যাসোসিয়েশনের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেখা দেয়া অভ্যন্তরীণ বিরোধ এবং বিশৃঙ্খলার মাঝে একজন প্রশাসক নিয়োগের সুপারিশ করেছে বন্দর।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বন্দরের বহির্নোঙরে ৩৩টি শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তালিকাভুক্ত হয়ে নিয়োজিত রয়েছে। যারা বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল হতে লাইটার জাহাজে পণ্য উঠানামার কাজে নিয়োজিত থাকেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং এন্ড বার্থ অপারেটরস্ এসোসিয়েশন এর অন্তর্ভূক্ত।
চিঠিতে বলা হয় যে, সমপ্রতি বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং এন্ড বার্থ অপারেটরস্ এসোসিয়েশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উক্ত এসোসিয়েশনের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপের কোন্দল ও বিভেদ দেখা দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ হতে পণ্য উঠানামায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে কালক্ষেপন হচ্ছে। এতে দেশের আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যা বহির্বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাবমূর্তির উপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করছে।
চিঠিতে আরো বলা হয় যে, আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে এবং আমদানিকৃত পণ্যের বিপরীতে সরকারের রাজস্ব আদায় অক্ষুন্ন রাখতে জাতীয় স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং এন্ড বার্থ অপারেটরস্ এসোসিয়েশনের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগ করা আবশ্যক।
চিঠিতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অনুরোধ করা হয়। গতকাল চিঠিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।










