২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে সীতাকুণ্ডে শিপ ইয়ার্ডে দুর্ঘটনায় ১২৮ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অনেকে, যাদের বেশিরভাগই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এই অস্বস্তিকর পরিসংখ্যান জাহাজভাঙা শিল্পের বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি উন্মোচন করে, যার দায় মালিকপক্ষ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওপরও বর্তায়।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় বিলস–এলআরএসসি কনফারেন্স রুমে জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন ফোরামের নেতৃবৃন্দ। ফোরামের আহ্বায়ক তপন দত্তের সভাপতিত্বে এবং জাহাজ ভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের সদস্য সচিব ফজলুল কবির মিন্টুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন, সদস্য মছিউদ্দোউলা, মাহাবুবুল আলম, দিদারুল আলম চৌধুরী, নুরুল আবসার, মোহাম্মদ আলী ও মো. ইদ্রিছ।
সভায় ৭ সেপ্টেম্বর এস এন কর্পোরেশন গ্রিন শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শ্রমিকের মৃত্যু ও আরও অনেক শ্রমিকের আহত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ফোরামের নেতৃবৃন্দ এসময় জোরালো দাবি জানান, ঘটনার মূল কারণ দ্রুত তদন্ত করে বের করা হোক এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় তার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হোক। তারা নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহতদের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং হতাহতের পরিবারের একজন সদস্যকে মালিকপক্ষের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার পাশাপাশি পুনর্বাসনের দাবি জানান।