সীতাকুণ্ডে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড এস এন কর্পোরেশনের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মারা গেলেন আল আমিন (২২) নামের আরও এক শ্রমিক। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে সাতক্ষীরা শ্যামনগর থানার সোনাখালী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
এ পর্যন্ত বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন মারা যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন আরও ৯ জন। এর আগে বিস্ফোরণের পর শনিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় শ্রমিক আহমেদ উল্লাহ (৩৮) ও গত সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় খায়রুল ইসলাম (২১) মারা যায়। বর্তমানে নয়জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন তাদের মধ্যে ৫ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক। বাকি চারজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবুল কাশেম (৩৯), বরকাতুল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও হাবিব (৩৫)।
বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার অ্যান্ড রিসাইকেলিং অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিএ) সদস্য সচিব নাজমুল ইসলাম বলেন, শিপ ইয়ার্ডে পাম্প রুমে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন গুরুতর আহত হয়।
গত শনিবার ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে একজন মারা যায়। এরপর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২জন মারা যায়।