শিকড়ের সন্ধান করছে
এক শিকড় বিচ্যুত আত্মা!
কী ভীষণভাবে ছুঁয়ে থাকে
সে পুরাণের দেয়াল জুড়ে!
তোমরা আজ উপড়ে ফেলেছো
পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটি, কারুকার্যময়
দালানের মাঝে পরমাত্মার আনাগোনা,
ধুলিশয্যায় গড়াগড়ি খাচ্ছে তোমাদের
রক্তের বাঁধন, পার্বন, আয়োজন সব যতো।
একটা খসে যাওয়া পলেস্তরা সাথি হয়েছে তার,
ক্ষয়ে যাওয়া হৃদয়ের রক্তক্ষরণের চিহ্ন মাখা
লাল মেঝে ডেকে বলছে,
‘মুখরিত করো তোমাদের উল্লাসে, আনন্দে!’
অশরীরির এসবের নেই অধিকার, তবুও তার দুর্নিবার আকর্ষণ!
তোমাদের শিকড় থেকেও তোমরা পরবাসী।
যার ঠিকানা মিলিয়ে গেছে তিতাসের বাঁকে,
যার বাঁধনগুলো আজ অন্তরাত্মার দুর্ভিক্ষের শিকার
সে আজ তোমাদের স্মৃতির স্বপ্ন চূড়ায় গড়ে নেয় আপন প্রাসাদ!