শিক্ষিকার বেতের আঘাতেই কি নষ্ট হল শিশু আয়াতের চোখ

বোয়ালখালী প্রতিনিধি

| বৃহস্পতিবার , ২৭ জুন, ২০২৪ at ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ

বোয়ালখালীতে মোহাম্মদ আয়াতুল ইসলাম () নামের এক শিশুর বাঁ চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে শিক্ষিকার বেতের আঘাতে তার এ পরিণতি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিশুর মা থানায় মৌখিক অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শিশু আয়াতুল উপজেলার জোটপুকুরপাড় এলাকার বাগে সিরিকোট তাহফিজুল কোরআন আইডিয়াল মাদ্রাসায় হেফজখানার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ও উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মো. সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে।

পরিবারের দাবি, গত ২৬ মে মাদ্রাসার শিক্ষিকা শাহীন আকতারের বেতের আঘাতে তার ছেলের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। ভুক্তভোগী আয়াতুল জানায়, অন্য ছেলেকে মারতে গিয়ে শিক্ষিকার বেত আমার চোখে এসে লাগে। এরপর থেকে চোখে ব্যথা হতে শুরু করে।

অভিযুক্ত শিক্ষিকা শাহীন আকতার বলেন, সে অসুস্থ হয়েছে সেটা আমি নিজেও জানতাম না। তাকে ঘিরে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দীন মাহমুদ বলেন, চোখ উঠার কারণে ২৭ মে আয়াত পড়তে বসতে পারে নাই। সকাল থেকে শুয়ে ছিল। বিকেলে তার মা এসে দেখতে পায় ছেলের চোখ লাল হয়ে আছে। বিষয়টি আমাকে জানালে আমি তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলি। কিন্তু ২৮ মে সকালে তার চোখের অবনতি দেখে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিই। সেখানে তার মা চিকিৎসক দেখান। চিকিৎসক বললেন, চোখের অপারেশন করাতে হবে। তার অপারেশনের জন্য প্রথম ধাপে আমি ১৫ হাজার ও দ্বিতীয় ধাপে ১৯ হাজার টাকা দিয়েছি। তাতেও চোখের উন্নতি না হওয়ায় তার মা সম্পূর্ণ আমার খরচে ইন্ডিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন আমাকে। আমি অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।

এদিকে গতকাল বুধবার সকালে সরেজমিনে তদন্তের জন্য আয়াতের ঘরে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব। তিনি আয়াত ও তার পবিারের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন। এসময় আয়াত তাকে জানায়, অন্য ছেলেকে মারতে গিয়ে শিক্ষিকার বেতের বাড়ি তার চোখে লাগে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ফাতেমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে বুঝা যাবে আসলে কি ঘটেছিল আয়াতের সাথে। তবে তার চিকিৎসার জন্য পরিবারের হাতে ১৫ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দেয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জেলা প্রশাসক সহযোহিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘ছাগলরা’ চিহ্নিত করার আগেই ‘মতিউরদের’ ধরার দাবি সংসদে
পরবর্তী নিবন্ধকিশোর গ্যাং লিডার ছাত্রলীগ নেতাসহ দুইজন কারাগারে