শিক্ষা বিস্তারে চসিকের শিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করতে লোকবল বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা সহায়ক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষাখাতকে ঢেলে সাজাতে সব ধরনের সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ কার্যালয়ে চসিক পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষনা দেন। সভায় কাট্টলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৩ শিক্ষার্থী মার্শাল আর্ট তায়কোয়ান্দো খেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
১৬–১৭ অগাস্ট চীনের নিংবো শহরে এ প্রতিযোগিতা হয়। পদক জয়ী তিনজন হলেন উম্মে সাইরা তানসি (স্বর্ণপদক), বৃন্তি দেবী (রৌপ্যপদক) ও সারমিন আক্তার (ব্রোঞ্জ পদক)। সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ তাদের বিভিন্ন দাবি–দাওয়া, অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
এই প্রসঙ্গে তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নকর্মী প্রয়োজন।বর্তমানে জনবল সংকটের কারণে পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তারা দ্রুত নতুন পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগের আহ্বান জানান। সভায় মেয়র বলেন, শিক্ষা খাতের নানা সমস্যা রয়েছে, তবে ধাপে ধাপে আমরা সেগুলোর সমাধান করব। ইতিমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং সেগুলো বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।বর্তমানে চসিক বছরে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে থাকে। এটা ভর্তুকি নয়, বরং আমাদের জন্য একটি সম্পদ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, চসিকের রাজস্ব আয় বাড়লে অনতিবিলম্বে কিছু বড় সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে। এছাড়া শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের বিষয়েও শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সভায় ঘোষণা দেন মেয়র।এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।.