শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বাড়াতে হবে

সেমিনারে ড. অনুপম সেন

| মঙ্গলবার , ২৮ জুন, ২০২২ at ১১:২১ পূর্বাহ্ণ

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির হাজারী গলিস্থ ভবনে অর্থনীতি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশের অর্থবছরের বাজেটের উপর ‘বাজেট ডিসকাশন’ শীর্ষক এক সেমিনার গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক এবং কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম। অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক অর্পিতা দত্তের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি বলেন, এই বাজেটের দুটি অংশ আছে; একটি রাজস্ব বাজেট ও অন্যটি উন্নয়ন বাজেট।

বাংলাদেশের পার্লামেন্টে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। এই বাজেটে দেশের নানা খাতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কম অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও বলা দরকার, যাঁরা এই অর্থ ব্যয় করার দায়িত্বে থাকেন তাঁরা এই অর্থই পূর্ণভাবে ব্যয় করতে পারেন না। অর্থ ফেরত যায়। এই বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষমতা অর্জন করতে হবে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত ছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা ও কৃষিখাতে ব্যয় বাড়াতে হবে, অন্যান্য অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় কমিয়ে।

ড. সেন কালো টাকা রোধ করা প্রয়োজন উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে বছরের শুরুতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে বিনামূল্যে বই বিতরণ ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। শিক্ষাখাতে এটা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশাল অবদান। ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক বলেন, মানবসম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার না করলে দেশ ও সমাজের টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব। তিনি পদ্মাসেতু সম্পর্কে বলেন, পদ্মাসেতু জিডিপি ১.২% থেকে ২% পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে।

প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন, বাজেটের সবচেয়ে বড়ো অঙ্গ হলো শিক্ষা। তিনি তারুণ্যকে মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য শিক্ষাই মূলমন্ত্র বলে উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী ‘বাজেট ডিসকাশন শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠানে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুনামগঞ্জে বন্যা দুর্গতদের পাশে সাইফ পাওয়ারটেক
পরবর্তী নিবন্ধধর্ম, ধর্মগ্রন্থ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননা বন্ধে আইন প্রণয়ন করতে হবে