চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত রম্যসাহিত্যিক–সংগঠক জিনাত আজম ও শিক্ষাবিদ অজিত কুমার আইচ স্মরণ সন্ধ্যায় বক্তারা বলেছেন, শিক্ষা–সংস্কৃতি ও নারী সমাজের উন্নয়নে এই দুই ব্যক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। অজিত কৃমার আইচ ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর এবং জিনাত আজম সৃজনশীল ভুবনের কারিগর। এই কারিগরদের কখনো মৃত্যু হয় না। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে তাঁদের এ স্মরণ সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা আরো বলেন, জিনাত আজমের রম্যসাহিত্য বহুধা বিস্তৃত। তিনি সাহিত্যাঙ্গনে নিজের একটি অবস্থান তৈরি করেছেন। অমায়িক ও মমতাময়ী এই মানুষটি নারী সমাজের উন্নয়নে রেখেছেন অপরিসীম ভূমিকা। অজিত কুমার আইচ শিক্ষায় আলো ছড়ানো এক ব্যক্তিত্ব। সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পন্ন এই মানুষটির মধ্যে ছিল বিনয়, ন্যায়নিষ্ঠা ও পরিনীতিবোধ। দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে তিনি অসংখ্য ছাত্র তৈরি করেছেন। এদের মধ্যে তিনি বেঁচে থাকবেন।
চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক লায়ন জাহাঙ্গীর মিঞা’র সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক কবি রাশেদ রউফের সঞ্চালনায় স্মরণ সন্ধ্যায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম, কবি মর্জিনা আক্তার, গল্পকার সাংবাদিক বিপুল বড়ুয়া, কবি অরুণ শীল, সংগঠক এস এম আব্দুল আজিজ, অধ্যাপক মৃণালিনী চক্রবর্তী, ব্যাংক নির্বাহী নাসের রহমান, মোরশেদ জাফর, কবি আবুল কালাম বেলাল, গীতিকার জসিম উদ্দিন খান, প্রাবন্ধিক রিটন কুমার বড়ুয়া, সাইফুদ্দিন আহমেদ সাকি, অনুবাদক ফারজানা রহমান শিমু, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, কবি শামীম ফাতেমা মুন্নি, ডা. রতন কুমার নাথ, কবি গল্পকার শিউলি নাথ, কবি সৈয়দা সেলিমা আক্তার, অধ্যাপক পিংকু দাশ, এস এম মোখলেসুর রহমান।
অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুহাম্মদ সহসীন চৌধুরী, অরজিৎ বিশ্বাস, লিটন কুমার চৌধুরী, মলিনা মজুমদার, তানজিনা রাহী, প্রীতিশ রঞ্জন বড়ুয়া, গৌতম কানুনগো, তানভীর হাসান বিপ্লব, রুনা তাসমিনা, সৌভিক চৌধুরী, শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, ছাবের আহমদ, জিএম জহির, বিপ্লব কুমার শীল, শ্যামল কান্তি নাথ, পুলক চন্দ, সুচিত্রা বৈদ্য, মো. জামাল, আরিফ রায়হান, এম. কামাল উদ্দিন, ইসমাইল জসীম, কুতুব উদ্দিন বখতেয়ার, আলমগীর হোসাইন, নুসরাত সুলতানা, প্রদীপ ভট্টচার্য, শিপ্রা দাশ, আবু সুফিয়ান রিনিক মুন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।