ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আজকের দ্রুত অগ্রসরমান চিকিৎসা পরিমণ্ডলে উচ্চমানের শিক্ষা ও অর্থবোধক গবেষণার সমন্বয় আমাদের স্বাস্থ্যখাতের ভবিষ্যৎ গঠনে অপরিহার্য। গবেষণা–ভিত্তিক শিক্ষা কেবলমাত্র একাডেমিক মান উন্নত করে না, বরং আমাদের ক্লিনিশিয়ান এবং শিক্ষকের এমন সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ও অভিযোজিত দক্ষতা প্রদান করে। যেগুলো তারা উদীয়মান স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘গবেষণা এবং চিকিৎসা শিক্ষা : উদ্ভাবনকে অনুপ্রাণিত করণ ও বৈশ্বিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করণ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত দিনব্যাপী চতুর্থ আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ ও চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের যৌথ উদ্যোগে কলেজ ক্যাম্পাসে বৃহৎ এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কানাডা, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, পাকিস্তানসহ দেশ–বিদেশের সাত শতাধিক নামকরা, প্রথিতযশা চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকের উপস্থিতিতে সম্মেলনে চিকিৎসা সংক্রান্ত ৭০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালেদ হোসেন আরও বলেন, শিক্ষক, চিকিৎসক এবং গবেষকদের একত্রিত করে এই সিম্পোজিয়াম একটি মূল্যবান ফ্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে। যেখানে গঠনমূলক আলোচনা, উদ্ভাবনী ধারণার বিনিময় এবং সহযোগিতামূলক অন্বেষণ সম্ভব হচ্ছে। এই ধরনের অংশগ্রহণ আমাদের বোঝাপড়াকে সমৃদ্ধ করে। পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল অনুশীলন, একাডেমিক উৎকর্ষ ও রোগীর যত্নে উন্নতি সাধনে সহায়ক হয়। গবেষণা–চালিত চিকিৎসা শিক্ষা আমাদেরকে কেবল নতুন জ্ঞান তৈরি করাই নয়, তা বাস্তবে প্রয়োগ করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এবং জাতীয় স্বাস্থ্য অগ্রাধিকারসমূহকে সমর্থন করতে সক্ষম করে। এ ধরনের যুগোপযোগী চমৎকার সম্মেলনের আয়োজনের জন্য তিন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
উদ্বোধকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, তিন মেডিকেল কলেজের বৃহৎ এই ব্যতিক্রমী সম্মেলন সত্যি প্রশংসার দাবিদার। এখানে উপস্থাপন করা ৭০টি নিবন্ধ আগামীর চিকিৎসা ব্যবস্থায় বড় ভূমিকা রাখতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আব ইউসুফ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইফসুফ। প্লেনারি সেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এম এ ফায়েজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টির সাবেক ডিন অধ্যাপক মো. আমির হোসেন, বিএমইএসি’র রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. হুমায়ন কবির তালুকদার, কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত, পাকিস্তানের মারগালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোডন্টিকস’র অধ্যাপক ডা. আফিফ ওমর জিয়া, থাইল্যান্ডের মাহিদোল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যামিলি হেলথ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কানিথা চামরুনসোয়াসদী। বক্তব্য রাখেন, সম্মেলনের চেয়ারম্যান ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিপু সুলতান, কো–চেয়ারম্যান ও কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মুসলিম উদ্দিন সবুজ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, সার্জিক্যাল ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদ করিম, বেসিক ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক অজয় দেব, মেডিকেল টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন ডা. ইব্রাহিম চৌধুরী, বিভিন্ন সেশনে চেয়ার হিসেবে ছিলেন কঙবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সোহেল বকস্, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. প্রীতি প্রসুন বড়ুয়া, মা ও শিশু মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসিম বড়ুয়া, আর্মি মেডিকেল কলেজ চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কর্ণেল সোহেল আহমদ, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের অবস এন্ড গাইনীর অধ্যাপক শামীমা সিদ্দিকা রোজি, অধ্যাপক জয়ব্রত দাস, অধ্যাপক ডা. বাবুল ওসমান চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এম এ সাত্তার, অধ্যাপক অরুপ দত্ত বাপ্পী, অধ্যাপক ডা. এম জালাল উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. মো. মনসুরুল আলম, অধ্যাপক ডা. মো. টিপু সুলতান, অধ্যাপক ডা. মো. আকরাম হোসাইন, অধ্যাপক ডা. সুজাত পাল, অধ্যাপক আকরাম পারভেজ চৌধুরী, অধ্যাপক নাসরিন বানু প্রমুখ।












