আমাদের বাবাদের কালে শিক্ষা পাঠ্যক্রমে (কারিকুলাম) কোন ঘাটতি ছিল বলে শুনিনি। ঔপনিবেশিক আমল থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে কম নামজাদা নাগরিকের জন্ম হয়নি সেই শিক্ষাব্যবস্থার হাত ধরে। দেশ বিদেশে নাম কুড়িয়েছেন, আলো ছড়িয়েছেন তাঁদের অনেকেই। তাঁদের অধিকাংশই অজপাড়াগাঁয়ের সাধারণ পরিবারের সন্তান ছিলেন। অনেকটা একই পদ্ধতিতে লেখাপড়া করে এবং তুলনামূলকভাবে বেশি সুযোগসুবিধা লাভ করে আমরা কিন্তু শিক্ষাদীক্ষায় সংখ্যার বিচারে এগিয়ে গেলেও মানের দিক থেকে পূর্ববর্তী প্রজন্মকে ছাড়িয়ে যেতে পারিনি, বরং কিছুটা পিছিয়েই পড়েছি।
একুশ শতকের সূচনা লগ্নে এসে শিক্ষার সার্বিক মান আরও পড়তে শুরু করে। উচ্চ বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী এখন শুদ্ধভাবে বাংলা পড়তে পারে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী যথার্থভাবে বাংলায় একটি অনুচ্ছেদও লিখতে পারে না। ইংরেজীর কথা এখানে নাইবা বলি। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা মইয়ের ধাপ টপকে যাচ্ছে ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে। তবে এই অভিমত সকলের জন্য প্রযোজ্য নয়। ভালো করছে, গুণগত মান বজায় রাখছে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কম নয়। কারা এগিয়ে চলেছে, আর কারা পিছিয়ে পড়ছে– তা বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে আর্থ–সামাজিক অবস্থান এক্ষেত্রে একটা বড় নিয়ামকের ভূমিকা পালন করছে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে সমাজের সর্বস্তরে রাজনীতিকরণের কারণেই আমাদের শিক্ষার মানের ক্রমাবনতি ঘটছে, একজন নিরক্ষর অভিভাবকও আজ তা বুঝতে পারেন। রাজনৈতিক বিবেচনা ছাড়াও শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আত্মীয়করণ, আঞ্চলিকীকরণ উপরন্তু অর্থের লেনদেন শুরু হবার পর বিপুল সংখ্যক অযোগ্য শিক্ষক ছোট বড় সকল প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ লাভ করেছেন, যার পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে পুরো জাতিকে।
শিক্ষার সঙ্গে সততা ও নৈতিকতার সম্পর্ক অচ্ছেদ্য। শিক্ষক হওয়ার জন্য কেউ যদি অনৈতিক পথে হাঁটেন, আর অনেকেই যদি সেই চলার পথে ফুল বিছিয়ে দিয়ে তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যান তবে শিক্ষা নিয়ে গৌরব করা আমাদের মানায় কি? শিক্ষার প্রয়োজনইবা কোথায়? সুপ্রাচীন কাল থেকেই বঙ্গদেশে জ্ঞানচর্চা হত বলে নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। তবে তা সর্বস্তরে প্রচলিত ছিল না। নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম তৈরি করে সর্বসাধারণকে শিক্ষিত করার ভাবনাটা আমরা ইংরেজদের কাছ থেকেই পেয়েছি, যাকে নিঃসেন্দেহে ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার বলা যায়, যদিও তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটা অনুগত প্রজন্ম গড়ে তোলা, যারা অবধারিতভাবে রাজাজ্ঞা পালন করে ঔপনিবেশিক শাসনকে আরও প্রলম্বিত করতে মুখ্য ভুমিকা পালন করবে। কিন্তু শিক্ষা এমন শক্তি যা অন্ধের চোখে আলো ফোটায়, মূকের মুখে ভাষা যোগায়, জীর্ণ জাতির বুকে আশা জাগায়। কাঁটা দিয়ে যেমন করে কাঁটা তোলা হয়, ঠিক তেমনি করে অবহেলিত অবদমিত জাতি অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে পরাধীনতার অবসান ঘটায়। নতুন জাতিসত্তার আত্মপ্রকাশ ঘটে পৃথিবীর বুকে। এরপরতো কেবলই এগিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কেন আমরা পিছিয়ে পড়ছি? জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় কেন আমরা আগের প্রজন্মকে ছাড়িয়ে যেতে পারছি না?
এসব প্রশ্ন আমাদের নীতিনির্ধারকগণকে কতটুকু ভাবায়, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। তাই বলে শিক্ষা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা থেমে নেই। যথাযথ পরিকল্পনা ও পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমে একের পর এক পরিবর্তন সমাজে কেবল চাঞ্চল্য ও অস্থিরতাই সৃষ্টি করছে। যুগের সাথে তাল মেলানোর কথা এক্ষেত্রে প্রায়শই উচ্চারিত হয়। কিন্তু যুগের নিয়ন্তা কে? যুগের হাওয়াই বা কোন দিক থেকে বয়? যুগের সাথে তাল মেলানোর কথা বলে উন্নত বিশ্বের নানা দেশ থেকে টুকরো টুকরো ভাবনা এনে আমাদের সমাজে প্রতিস্থাপন করার চেষ্টাইবা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? অবকাঠামোগত নানান সীমাবদ্ধতার কথা বাদ দিয়ে শুধু শিক্ষক শিক্ষার্থী অনুপাতের কথা চিন্তা করলেই উন্নত বিশ্বের পাঠ্যক্রম আমাদের সমাজে চালু করার অসারতা উপলব্ধি করা যায়।
প্রতিটি সমাজই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়। পরিবর্তন দৃশ্যমান হয় মানুষের আচার আচরণে, পোশাক–আশাকে, খাদ্যাভ্যাসেও। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে পরিবর্তন দ্রুতলয়ে ঘটছে, যার সাথে তাল মেলাতে গিয়ে অনেকেই পথ হারায়, সর্বশান্ত হয়ে যায়। অনেকে আবার খোলনলচে পাল্টে ফেলে। কেউবা পুরাতনকে আঁকড়ে ধরে রাখতে গিয়ে জীবনের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহকে বিষিয়ে তোলে। সভ্যতা এগিয়ে চলেছে এই বিপরীতমুখী মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধকে সঙ্গে নিয়ে। প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে সাহায্য করে দুই ধারাকে এক বিন্দুকে মেলাতে। সংস্কার বা পরিবর্তনকে মেনে নেওয়ার মতো মানসিক ঔদার্যের সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার মনোবৃত্তি আমাদের সমাজকে সুস্থ ধারায় পরিচালিত করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু আমাদের সমাজে ক্রমবর্ধমান অস্তিরতা সাক্ষ্য দেয় প্রকৃত শিক্ষা থেকে আমরা দিন দিন অনেক দূরে সরে যাচ্ছি।
বইতে পড়েছিলাম– অশিক্ষা পাশবিকতার বিস্তার ঘটায়, মানুষ আর পশুতে পার্থক্য নির্দেশ করে শিক্ষা, শিক্ষার সঙ্গে সংযম ও মানবিকতার সংযোগ না ঘটলে সেই শিক্ষা অর্থহীন। প্রতি বছর আমরা লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর হাতে পরীক্ষায় সোনালী ফলাফল নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার সনদ তুলে দেই। সনদের সঙ্গে সংযত ও মানবিক হওয়ার কোন শিক্ষা থাকে না। তাই বড় বড় পদ, বড় বড় বাড়ি গাড়ি নিয়ে রঙ ছড়ানো উচ্চশিক্ষিত নাগরিকদের মাঝে মানুষ দেখা যায় না।
অনেকগুলো প্রশ্নবোধক চিহ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষাখাতে সরকারি অর্থ বরাদ্দের অপ্রতুলতার কথা প্রায়শই উচ্চারিত হয় গণমাধ্যমে। কিন্তু সেই যতসামান্য বরাদ্দই কি যথাযথভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে? বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য শিক্ষাপদ্ধতি নিয়ে একের পর এক পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে, যার অনেক কিছুই আমাদের লালিত ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সংস্কার বা পরিবর্তন যুগের দাবি। একে অস্বীকার করা যায় না। আবার পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেও যুগের পর যুগ লেগে যায়। এর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া বহুমাত্রিক হতে পারে। তা নিয়ে অন্তহীন আলোচনা সমালোচনাও হতে পারে। কিন্তু আমাদের শিশুদের পাঠ্যবই সংক্রান্ত আলোচনায় যখন রাজনৈতিক বিভাজনটাই প্রকট হয়ে ফুটে ওঠে, তখন জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত না হয়ে থাকা যায় না।
আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাজনৈতিক বিভাজন থাকবেই। দ্বিমত কেন হাজারটা মত থাকতে পারে কোন কোন প্রসঙ্গে। কিন্তু শিক্ষার বিষয়ে, যার সঙ্গে আমাদের সন্তানদের জীবন জড়িয়ে, তা নিয়ে মতপার্থক্য থাকা সমীচীন নয়। আমাদের সন্তান বলতে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বুঝতে হবে। নিম্ন আয়ের অভিভাবকের সন্তান আর উচ্চ আয়ের অভিভাবকের সন্তানদের জন্য একই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা উপকরণ নিশ্চিত করা না গেলে কোন সংস্কারই সুফল বয়ে আনবে না। শিক্ষানীতি প্রণয়নকারী, জনপ্রতিনিধিসহ ধনবান পরিবারের ছেলেমেয়েরা সরকারি বিদ্যালয়ে পাঠ নিলেই কেবল সমাজে শিক্ষার প্রকৃত সুফল দৃশ্যমান হবে। শিক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করে, প্রতিটি সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের সদ্ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিলে শিক্ষার বৈষম্য প্রশমিত হবে। গণিত, বিজ্ঞান, ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, নৈতিকতা, ধর্ম, ক্রীড়া, শিল্পকলা– কোন বিষয়কেই কম গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। শিশুর পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশে জ্ঞানের সকল শাখার সঙ্গে পরিচিত হওয়া আবশ্যক। একই সঙ্গে তাদেরকে পাঠ সহায়ক কার্যক্রম এবং স্বেচ্ছাশ্রমে অনুপ্রাণিত করা হলে তাঁদের মাঝে মানবিকতা, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহনশীলতা বিকশিত হবে। সন্তানদের মাঝে এই মানবীয় গুণাবলীর বিস্তার ঘটাতে চাইলে আমাদেরকেই (শিক্ষক– অভিভাবক) সর্বাগ্রে এসব ধারণ করতে হবে। কিন্তু পাঠ সহায়ক বিষয় কে প্রধান পাঠ ধরে এগুতে চাইলে জ্ঞান বিজ্ঞানে আমরা কেবল পিছিয়েই পড়বো। উপরন্তু, সব কিছুতেই যদি আমরা রাজনৈতিক বিভাজনকে টেনে বার করি, খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে একে অন্যকে আহত করি, রক্তাক্ত করি তাহলে সব আয়োজন অন্তঃসারশূন্য হয়ে যাবে।
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন আমাদের সমাজটাকে এমনভাবে গ্রাস করে নিয়েছে যে এখন প্রতিটি নাগরিকই পরস্পরের প্রতিপক্ষ। সামাজিক এই দূষণ শিক্ষক–অভিভাবক, শিক্ষক–শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি–জনতা থেকে শুরু করে চিকিৎসক–রোগীকেও পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। শুধু কি তাই ! একই পরিবারে পিতা–মাতা–সন্তানও একে অন্যের প্রতিপক্ষ। জনবহুল এই সমাজে আমরা সবাই ক্রমে একা হয়ে পড়ছি। অবিশ্বাস, অস্থিরতা, অসুস্থ প্রতিযোগিতা ক্রমান্বয়ে আমাদেরকে নৃশংস করে তুলছে। পারিবারিক অশান্তি ছড়িয়ে পড়ছে ঘরে বাইরে, বিস্তার লাভ করছে স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে। সর্বজনীন প্রকৃত শিক্ষাই এই অতল অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার পথ দেখাতে পারে। তার মানে সকলে জীবনবাজি রেখে ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতায় নাম লেখাবে, অতঃপর সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে নিতান্ত তরুণ বয়সে ত্রিশের কোঠায় পা দিতে না দিতে জাতির ভাগ্যবিধাতার আসনে বসে থাকবে, তা নয়।
অমর চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছায়াছবির একটি অনুল্লেখযোগ্য চরিত্র কাদের মিয়া। ‘লেখাপড়া শিখে মিথ্যে বলা শিখবে, মানুষকে ঠকাতে শিখবে’– তিতাস নদীর তীরের দরিদ্র গ্রামবাসী কাদের মিয়া এই ভয়ে তাঁর নাতীকে স্কুলে পাঠাতে চান না। দু’পাতা শিক্ষার ওপর ভর করে উঁচু শ্রেণি যেভাবে ক্রমাগত নীচু জাতকে পায়ে পিশে মারছে, আজীবন তা প্রত্যক্ষ করেই হয়তোবা কাদের মিয়ার মননে শিক্ষা নিয়ে এমন ভয়ংকর নেতিবাচক ভাবনা জন্ম নেয়। তাই বলে একজন নিরক্ষর কাদের মিয়াকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা চলে না। কিন্তু শিক্ষার নামে প্রতারণা নিয়ে কাদের মিয়াদের মনের ভয় দূর করার কাজটা আমাদেরকেই করতে হবে।
সমাজে শান্তি, সহযোগিতা ও সহমর্মিতা রক্ষার পাশাপাশি মাটি, পানি, বায়ুকে নির্মল রাখার শিক্ষাও আমদেরকে গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার উদ্দেশ্য কেবল সনদপ্রাপ্তি আর উচ্চ আর্থ–সামজিক মর্যাদা লাভ নয়। বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে স্বকীয়তাকে বিকিয়ে দিতে হয় না– সেকথাও আমাদের সন্তানদেরকে জানাতে হবে। ইতিহাস বলে রাজনীতি চিরকালই কলুষিত। সততা, মানবতা, জনসেবা, দেশপ্রেমকে ছল হিসেবে ব্যবহার করেন রাজনীতিবিদগণ। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে অনেক জাতিই ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিল, তখন হাল ধরেছিল শিক্ষা। তা প্রকৃত শিক্ষা, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার দলীয় শিক্ষাবিদগণের হাতে রচিত পিঠ বাঁচানো আর আখের গোছানো শিক্ষা নয়। রাজবন্দনার নিমিত্তে ঢাকঢোল পেটানো শিক্ষায় না আছে গৌরব, না সৌরভ। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে, যাতে রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলে শিক্ষার্থীদের ওপর কোন মনস্তাত্ত্বিক চাপ না পড়ে। শিক্ষার চিরন্তন সত্তাটিকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমাদের মননে ও আচরণে তাই শিক্ষার শক্তি, সৌন্দর্য ও দর্শনকে ধারণ করতে হবে।
লেখক : প্রাবন্ধিক, গবেষক; অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।