চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাব্বির খুনি শ্রমিক লীগ নেতা জানে আলমকে আটক করে পুলিশকে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে পাঠানটুলি নাজিরপোল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে কোতোয়ালী থানা পুলিশ গিয়ে তাকে হেফাজতে নেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জানে আলম তার বাহিনী নিয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতায়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মনির।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় চান্দগাঁও, বাকলিয়া ও কোতোয়ালিতে তিনটি মামলা করা হয়েছে। ৫ আগস্ট জানে আলম পালিয়ে যান। আয়নাঘর বানিয়ে চট্টগ্রাম নগরের নতুন ব্রিজ এলাকায় টর্চার সেল খুলে ১৭নং রোডের পরিবহন শ্রমিকদের আওয়ামী লীগ নেতা জানে আলম নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাতেন। কেউ তাকে চাঁদা না দিলে লোহার হাতল, হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে হাত, পা থেঁতলে দিতেন তিনি।
এ বিষয়ে কোতায়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মনির বলেন, ‘জানে আলম আটকের খবর শুনে আমরা গিয়ে তাকে হেফাজতে নিয়ে থানায় আনি। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালিসহ নগরীর কয়েকটি থানায় মামলা রয়েছে।’