শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় ছিল সব ব্যবস্থা প্রস্তুত আইসোলেশন সেন্টারও

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে গতকাল। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এর মাঝে অন্যতম নির্দেশনা ছিল প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত রাখা। কোন শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে যাতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাটা দেয়া যায়, সে উদ্দেশ্যেই এ নির্দেশনা।
গতকাল নগরীর বেশ কয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরেজমিন ঘুরে দেখেন এই প্রতিবেদক। মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখতে দেখা গেছে। কক্ষে একটি খাট বা চৌকি রাখা। তাতে বেড, বেডশিট ও বালিশসহ বেশ পরিপাটি বিছানা। সাজনো-গোছানো এই বিছানার পাশেই একটি টেবিল ও চেয়ার। টেবিলে রাখা আছে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম। ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২য় তলার একটি কক্ষে স্থাপন করা আইসোলেশন সেন্টার এটি। তিন পাশেই জানালা। যার কারণে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও দেখা গেল ওই কক্ষে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাহিদা আক্তার জানালেন, মাউশির নির্দেশনা মেনে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় সব ধরণের ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে। স্কুলের বাইরে বসানো হয়েছে হাত ধোয়ার বেসিন। যাতে বাইরে থেকে আসার পরপরই শিক্ষার্থীরা হাত ধুতে পারে। আইসোলেশন সেন্টারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে দেয়া প্রাথমিক চিকিৎসার সব সরঞ্জামও আইসোলেশন সেন্টারে রয়েছে। কোন শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া যায়, এ জন্যই আইসোলেশন সেন্টারের ব্যবস্থা বলে জানান প্রধান শিক্ষিকার সাথে থাকা স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা ফেরদৌসি সুলতানা। হাজী মুহাম্মদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নিচ তলার একটি কক্ষকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কক্ষটি আগে সততা স্টোর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ওই সততা স্টোরের অর্ধেক অংশে এখন আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জায়গা সংকটের কারণে একটি কক্ষের অর্ধেক অংশকে আইসোলেশন সেন্টার বানানো হয়েছে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল আমিন। শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার সুবিধার্থে স্কুলের বাইরে বেশ কয়টি বেসিনও স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলজিয়েট স্কুলেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসোলেশন সেন্টার। স্কুল ভবনের দ্বিতীয় তলার ২১৯ নম্বর কক্ষটিকে বানানো হয়েছে আইসোলেশন সেন্টার। প্রাথমিক চিকিৎসায় সরঞ্জামও রাখা আছে এই কক্ষে।
একই ভাবে নগরীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান একটি কক্ষের সামনে ‘আইসোলেশন সেন্টার’ লেখা কাগজ সাঁটালেও আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত করতে পারেনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবার বাজল সেই ঘণ্টা
পরবর্তী নিবন্ধকাজির দেউড়ি মোড় টেম্পো-রিকশা-রাইডার ত্রিমুখী সংঘর্ষ, আহত ৭