জ্বলজ্বলে নীল চোখ আর বুকজুড়ে উত্তর কোরিয়ার পতাকা লাগানো খেলনার মতো দেখতে একটি রোবট পিয়ংইয়ংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সমপ্রতি উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেআরটিতে সমপ্রচারিত এক ভিডিও ফুটেজে এমনটাই দেখা গেছে। খবর বিডিনিউজের।
ফুটেজে সব মিলিয়ে মোট তিনটি বড় প্লাস্টিক রোবট দেখানো হয়েছে; সবগুলোকেই কোনো না কোনোভাবে মানুষের মতো দেখানোর চেষ্টাও করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। শিশুদের গণিত, সঙ্গীত ও ইংরেজির প্রাথমিক পাঠদানে সহায়তা করতে রোবটগুলো নামিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উন সামপ্রতিক বছরগুলোতে প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে শিক্ষার এমন সংস্কারে জোর দিচ্ছেন। আমি শিক্ষাবিষয়ক প্রযুক্তি শেখায় সহায়তা করি, যা শিশুদের বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়, কেআরটির ফুটেজে বাহু দোলাতে দোলাতে নারী কণ্ঠে এমনটাই বলতে শোনা যায় ৮০ সেন্টিমিটার লম্বা এক রোবটকে।
বাকি দুই রোবটের মধ্যে একটির সাদা বৃত্তাকার মাথার মাঝখানের পর্দায় আঁকা চোখ, নাক, মুখ এবং অন্যটিকে নীল প্লাস্টিকের স্যুট ও সাদা ফ্রেমের চশমা পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। পিয়ংইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্ক কুম হি জানান, শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করবে এমন রোবট বানানো শুরুর দিকে বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল। দেখা যেত, প্রায় সময়ই রোবটগুলোকে কোরিয়ান বা বিদেশি কোনো ভাষায় প্রশ্ন করলে তারা মাথা নাড়তে থাকতো। এসব রোবটের বুদ্ধিমত্তার আধুনিকায়ন আমার মতো মনোবিজ্ঞান পড়ে আসা একজনের জন্য বেশ জটিলই ছিল। কমরেড জেনারেল সেক্রেটারি শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যুক্ত করার যে কথা বলে আসছেন, তাই আমাকে সবসময় সঠিক পথে পরিচালিত করেছে, কেআরটিকে এমনটিই বলেছেন তিনি। ফুটেজে উত্তর কোরিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাস্ক পরা শিক্ষার্থীদেরকে সঙ্গীত, গণিত ও ইংরেজি ক্লাসে রোবটের সঙ্গে পড়তেও দেখা গেছে।