শিক্ষার্থীদের বিজয় অবশ্যই হবে : ফখরুল

| রবিবার , ৪ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এবারকার আন্দোলনের সবচেয়ে বড় দিক যে, মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে, যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, আমি মনে করি যে, এই আন্দোলন তার বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে গেছে। আমি বিশ্বাস করি, ইনশাল্লাহ জনগণের বিজয় অবশ্যই হবে, ছাত্রশিক্ষার্থীদের বিজয় অবশ্যই হবে।

গতকাল শনিবার দুপুরে বনানীতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য কারাবন্দি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষতের পর তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করে দেখছেন যে, এখন শিক্ষার্থীদের কোটা বৈষম্য বিরোধী যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনে সাধারণ সমস্ত মানুষ যোগ দিয়েছে। শুধু ছাত্ররা নয় এখন, অভিভাবক, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিল্পীসাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ সব পেশার মানুষসব ধরনের মানুষ কিন্তু এখন এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছে যে, ছাত্ররা যখন আন্দোলন শুরু করেছে, তখনই এর যে যৌক্তিকতা তা নিয়ে আমরা কথা বলেছি, আমরা তাদের সঙ্গে সহযোগিতা শুধু নয়, তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছি।

তিনি বলেন, আমরা যেটা সব সময় বলে আসছিলাম, তরুণদের জাগ্রত হবার কথা। সেই তরুণরাই এবার জেগে উঠেছে। এজন্যই আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। আশাবাদী এই কারণে যে, তরুণরা যখন জেগে ওঠে, ছাত্ররা যেখানে জেগে ওঠে, যুবকরা যেখানে জেগে ওঠে, সেই আন্দোলনকে পরাজিত করা কারো পক্ষে সম্ভব না। ‘আজকে ভয়াবহ যে দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকার, তারা যেভাবে হত্যা করেছে আমাদের সন্তানদেরকে, সেটা অবর্ণনীয়, ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়, শত শত ছাত্রদেরকে তারা হত্যা করেছে।

ফখরুল বলেন, আমি এখানে এসেছিলাম আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাহেব বাসায় তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য। এর আগে আমি গিয়েছিলাম নজরুল ইসলাম খান সাহেবের বাসায় তার স্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্য। তার স্ত্রী অত্যন্ত অসুস্থ, আপনারা জানেন সবই। মূলত আসার কারণটা হচ্ছে, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি যে, কারাগারে তাদেরকেশুধু তাদেরকে নয় সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিদেরকে যাদেরকে এক মাসের মধ্যে বন্দি করেছে, মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। তাদের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই, তারা কোনো কিছু পাঠাতে পারছেন না, যোগাযোগই করতে পারছেন না। এটাকে আপনার টোটালি আইসোলেটেড বলা যায় আরকি।

বেলা ১১টায় বিএনপি মহাসচিব বনানী ডিওএইচএসে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য কারাবন্দি নজরুল ইসলামের বাসান যান। ফখরুল সেখানে নজরুল ইসলামের স্ত্রী অসুস্থ কান্তা ইসলামের খোঁজখবর নেন। এ সময় তার ছেলে অনিক খান, স্ত্রী রাবেয়া আক্তার রাখি খান ছিলেন। পরে বিএনপি মহাসচিব বনানীতে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর স্ত্রী তাহেরা খসরুর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময়ে তার ছেলে ইসরাফিল খসরু ছিলেন। ২১ জুলাই নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে তাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআড়াই মাস পর বাজারে এলো সামুদ্রিক মাছ
পরবর্তী নিবন্ধপ্রত্যয় পেনশন স্কিমে থাকছেন না বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা