তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একটি মহল শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। একইসাথে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজপথ ত্যাগ করে নিজেদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল-ডিএসইসি মেধাবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ডিএসইসি সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যঅডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সামপ্রতিক দেশকালের সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন পলাশ, ড. মোহাম্মদ এ হোসাইন দীপু বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। খবর বাসসের।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করছে, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। নিরাপদ সড়ক আমাদের প্রয়োজন, সরকারও এ বিষয়ে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে, শিক্ষার্থীদের জন্যে ইতিমধ্যেই হাফভাড়া করে দিয়েছে। বেসরকারি মালিক সমিতি ঢাকায় হাফভাড়া করেছে, চট্টগ্রামের জন্য আলোচনা করছে। আশা করবো আমাদের সন্তানেরা এখন ক্লাসে ফিরে যাবে। করোনার কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে, এখন ক্লাসে ফিরে যাবার সময়।
কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রাজনীতি করা শুরু হয়েছে, তাদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অনেকে রাজনীতি ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে এবং রামপুরার ঘটনাকে সেই অপচেষ্টার অংশ বলেই অনেকে মতপ্রকাশ করেছেন বলেন ড. হাছান। বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন যে, খালেদা জিয়াকে বিদেশ না পাঠালে সরকারকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে ফেলা হবে। তারা তো আমাদের সাড়ে বারো বছর আগে থেকে টেনে হিঁচড়ে নামাতে চাচ্ছেন এবং সেটি করতে গিয়ে রশি ছিঁড়ে তারাই পড়ে গেছেন। আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাবো, আরো টান দিলে আপনারা আরো পড়ে যাবেন। সুতরাং সেই চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।
বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পান চিকিৎসা পান সেজন্য বিএনপি বা বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার যেভাবে চাইবে সেভাবেই দেশের অভ্যন্তরে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করতে বদ্ধপরিকর। বেগম জিয়া ইতোপূর্বেও অসুস্থ হয়েছিলেন এবং দেশের মধ্যে চিকিৎসা নিয়েই তিনি ভালো হয়েছেন। এবারও আশা করি আমাদের মেধাবী ডাক্তারদের সুচিকিৎসায় বেগম জিয়া সহসাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন।
