সিএনজি চালকের নিয়ে যাওয়া শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তার ব্যাগভর্তি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র-ব্যাংকের চেক বই ও টাকা বায়েজিদ থানা এলাকার সিসি ক্যামরার ফুটেজ ও ‘হ্যালো সিএমপি’ অ্যাপসের মাধ্যমে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম কলেজ গেট থেকে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সহকারী পরিচালক (কলেজ) মোশারফ হোসেন (৫০) সিএনজি ট্যাক্সি ভাড়ায় নেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুছড়ায় যাওয়ার জন্য। বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুছড়ায় যাওয়ার সময় জামান হোটেলের সামনে নেমে মোশাররফ হোসেন কিছু কেনাকাটা করেন। এসময় ট্যাক্সিতে তার ব্যাগে ছিল বেতনের দুই লাখ ৩৬ হাজার টাকা, গুরুত্বপূর্ণ ৪ টি দাপ্তরিক ফাইল, ব্যাংকের একটি চেক বই ও সিলসহ আরো কাগজপত্র। ট্যাক্সি চালক বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ট্যাক্সির যাত্রী না আসায় ট্যাক্সি নিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর ট্যাক্সি যাত্রী চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সহকারী পরিচালক (কলেজ) মোশারফ হোসেন এসে দেখেন ট্যাক্সিটি নেই। তিনি অনেকক্ষণ এদিক-ওদিক খুঁজেও কোথাও ট্যাক্সির সন্ধ্যান না পেয়ে নিকটস্থ থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ তৎপর হয়ে উঠেন।
পুলিশ জানায়, শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে বায়েজিদ থানা এলাকায় বিট পুলিশিংয়ের ১৭টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ট্যাক্সিটি সনাক্ত করা হয়। পরে হ্যালো সিএমপি অ্যাপস ব্যবহারে ট্যাক্সির মালিক ও চালককে সনাক্ত করা হয়। ট্যাক্সির মালিককে বিষয়টি জানালো হলে মালিক-ড্রাইভারকে নিয়ে ব্যাগসহ থানায় আসেন। এ ব্যাপারে বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান আজাদীকে জানান, আসলে সিএনজিচালক ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাগসহ কাগজপত্র এবং টাকাগুলো নিয়ে যায়নি। সে অনেক্ষণ অপেক্ষা করার পরও যখন সিএনজির যাত্রী আসছে না তখন সিএনজি চালক মনে করেছেন হয়তো ভুলে এসব ফেলে গেছেন। তাই নিয়ে বাসায় নিয়ে গেছে।
আমাদের কাছে যখন শিক্ষাবোর্ডের ঐ কর্মকর্তা অভিযোগ করেন তখন আমরা আমাদের থানা এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ট্যাক্সিটি সনাক্ত করে মালিককে খবর দিলে মালিক ড্রাইভরকে নিয়ে সাথে সাথে থানায় চলে এসেছেন। রবিবার রাতেই আমাদেরকে ব্যাগটি দিয়েছিলেন। আমরা শিক্ষা বোর্ডের ঐ কর্মকর্তার কাছে তার ব্যাগ-টাকা এবং কাগজপত্রগুলো হস্তান্তর করেছি। এখানে টাকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষবোর্ডের কাগজপত্র গুলো।