স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হবে লেখাপড়া, গবেষণা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দু। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অনুষ্ঠিত ‘৫ম জাতীয় ইন্টার্ন গবেষণা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই যুগের নেতৃত্বে থাকবে বাংলাদেশ। আর এজন্য তরুণদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আশরাফ আলি বিশ্বাস এবং পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. এস. কে. এম. আজিজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. রাশেদুল আলম।
ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী বাংলাদেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে পরিশ্রম করছেন তার পেছনে কাজ করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষার দর্শন। আর সেই দর্শনের মূল উপজীব্য হচ্ছে প্রায়োগিক শিক্ষা। সিভাসুতে সেই কাজটিই করা হচ্ছে। জ্ঞান, শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন এবং ইন্ডাস্ট্রি–একাডেমিয়া কল্যাবরেশন্সের ক্ষেত্রে সিভাসু রোল মডেল হয়ে উঠছে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গবেষণা, পেশাগত ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধিতে ইন্টার্নশিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তোমরা ইন্টার্নশিপ কমসূচির সদ্ব্যবহার করবে, হাতে–কলমে কাজ শিখে নিজেদেরকে যোগ্য, দক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে তুলবে এবং স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে সিভাসুর নাম উজ্জ্বল করবে।
দিনব্যাপী সম্মেলনের ৩টি সেশনে ২২টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং ১৯টি পোস্টার প্রদর্শন করা হয়। শেষে কৃতী শিক্ষার্থীদেরকে সার্টিফিকেট ও ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।