বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘এন্ট্রি লেভেলের’ শিক্ষক পদে প্রার্থী বাছাইয়ে অনুষ্ঠিত অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে ‘অনুত্তীর্ণ’ বা ‘ফেল করা’ প্রার্থীরা তাদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করে সনদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার রাজধানীর ইস্কাটনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ–এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে তারা এ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থানে ছিলেন। অবস্থান কর্মসূচির চলাকালে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে পুলিশ সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থায় দেখা যায়। খবর বিডিনিউজের।
অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষায় বসার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থী। গত ৪ জুন চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হলে তাদের মধ্য থেকে ৬০ হাজার ৫২১জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। অনুত্তীর্ণ ২৩ হাজার প্রার্থীর একাংশ গতকাল রোববার সকাল থেকে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তাদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের দাবি, তারা প্রিলিমিনারি ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভাইভায় ভালো করলেও তাদের ‘ফেল করানো হয়েছে’। তাই তারা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ দাবি করছেন।
মাদ্রাসার আইসিটি প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য নিবন্ধিত হতে অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারা সিরাজগঞ্জের প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমার দাবি ও আমাদের সবার দাবি, আমাদের সনদ দিতে হবে। এনটিআরসিএ চাকরি দেয় না, তারা একটা সনদ দেয় সে সনদপ্রাপ্তরা শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে যদি আমরা চাকরি নাও পাই, ওই সনদ দিয়ে আমরা নন–এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে পারব।
গতকাল দুপুরে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এনটিআরসিএকে দেওয়া স্মারকলিপিতে অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের ফল পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়। সেখানে লেখা হয়, বিধি অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ নম্বর পেলে পাস বলে গণ্য হবেন। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়েই একজন পরীক্ষার্থী ভাইভার জন্য নির্বাচিত হন। আর ভাইভার ২০ নম্বরের মধ্যে ১২ হচ্ছে অ্যাকাডেমিক রেজাল্টের ওপর। বাকি ৮ নম্বর ড্রেসকোড, আচরণ এবং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা, যার মধ্যে ৩.২ নম্বর পেলেই প্রার্থীর পাস করার কথা। অনেকেই সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার পরেও ফেল করেছেন। যেটা ভাইভা বোর্ডের মনগড়া সিদ্ধান্ত ছিলো যা অনেক মেধাবী পরীক্ষার্থীর মনে দাগ কেটেছে। এই যুক্তিতে অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের ফল পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বে থাকা সদস্য মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিধিমালা অনুযায়ী ফল পুনর্নীরিক্ষণের সুযোগ নেই।