শিক্ষক, তিন বর্ণের এ শব্দটি একটি মহান পেশার নাম। জন্মদাতা পিতার পরেই তার স্থান, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমতুল্যও মনে করা হয়। কারণ প্রতিটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষক তার সন্তানতুল্য মনে করে এবং সে অনুযায়ী শিক্ষা দেন।সামাজিক সভ্যতার পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রযুক্তির অতি ব্যবহার, শাস্তির বিধান নিয়ে অতি বাড়াবাড়ি, কোচিং বাণিজ্য ও কিছু অপপ্রচার সব মিলিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে দূরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে।দূরুত্বের এ সুযোগটিকে কাজে লাগাচ্ছে গুজব ছড়ানো একটি মহল। শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে একটু কটু কথা বললে সেটাকে তার কল্যাণার্থেই বলবে, কিন্তু তা না ভেবে শাস্তি কিংবা তার প্রতি অবিচার ভাবা হয়। আবার বদ মেজাজের কতিপয় শিক্ষক শ্রেণির লোক শিক্ষার্থীকে শাস্তি দিতে নিজের রাগ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে ফেলেন এটাও তেমন ঠিক না।এ দুটো বিষয়কে আমরা সুক্ষ্মভাবে বিচার না করে, একটি ঘটনা শোনা মাত্রই বিক্ষোভে কিংবা প্রতিবাদে ফেটে পড়ি।এ সুযোগটিকে ওই শিক্ষকের অকল্যাণকামি কিংবা পূর্বশত্রুতা আছে এমন শ্রেণির লোকে কাজে লাগিয়ে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেন।এ সংক্রান্ত প্রতিটি ঘটনায় চোখ-কান খোলা রেখে পদক্ষেপ, প্রতিবাদ, মন্তব্য যেমন করতে হবে, তেমনি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিরও কিছুটা পরিবর্তন ঘটাতে হবে।তাহলেই রক্ষা পাবে শিক্ষা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। গড়ে উঠবে উন্নত সমাজ ও দেশ।
তারেক আল মুনতাছির, শিক্ষার্থী, বিজ্ঞান বিভাগ, ওমরগণি এম.ই.এস কলেজ,চট্টগ্রাম।