মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সাবেক ছাত্রী পরিচয় দেন। এরপর সাক্ষাৎ করে মারধর ও সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে নেন। এখানে শেষ নয়, কৌশলে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত ভবনে নিয়ে গিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলেন এবং আরও টাকা দাবি করেন। আদায় করেন ফের দুই লাখ টাকা। গত ৪ এপ্রিল নগরীর খুলশী থানাধীন ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে দবির উদ্দিন খান (৬৫) নামের অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের সাথে এ ঘটনা ঘটে। দবির উদ্দিন খান বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা। খুলশীর জালাবাদ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় বসবাস করে আসছেন। পুলিশ জানায়, আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিবে বলে দুই লাখ টাকা আত্মসাৎ করার পরও অপরাধীরা থামেননি। দবির উদ্দিন খানের কাছ থেকে আরও টাকা দাবি করে বসে। কোনো উপায় না দেখে একপর্যায়ে তিনি থানায় এসে তিনজনের নাম উল্লেখ করে গত বৃহস্পতিবার একটি এজহার দায়ের করেন।
এদিকে অভিযোগ পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে অভিযান পরিচালনা করেন খুলশী থানা পুলিশের একটি টিম। অভিযানে দবির উদ্দিন খানের কাছে সাবেক ছাত্রী পরিচয় দেওয়া শাহিনা আক্তার প্রকাশ আইরিন নিসা (৩০) ও ফয়সাল (২৫) নামের তার এক সহযোগীকে নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৪ হাজার নগদ টাকা, ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। গ্রেফতারকৃত উভয়ই খুলশী থানা এলাকার বাসিন্দা উল্লেখ করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান আজাদীকে বলেন, ঘটনার পর দবির উদ্দিন খান কাউকে কিছু বলতে চাননি। একপর্যায়ে অপরাধীরা বাড়াবাড়ি করলে তিনি গত বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আমরাও অভিযোগটি আমলে নিই। একপর্যায়ে গতকাল শুক্রবার আকবরশাহ থানা এলাকা থেকে সাবেক ছাত্রী পরিচয় দেয়া আইরিন নামের ওই নারী ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করি। এ ঘটনায় আরও দুজন জড়িত রয়েছে। তাদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। আশা করছি, খুব শীগ্রই তাদেরকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
খুলশী থেকে সিএনজি অটোরিকশা করে আকবরশাহ থানাধীন নন্দন হাউজিং এলাকার একটি ভবনের ৯ম তলায় দবির উদ্দিনকে নিয়ে যায় উল্লেখ করে ওসি মো. শাহিনুজ্জামান আরও বলেন, সাবেক ছাত্রী পরিচয় দেওয়া ওই নারী সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্রের প্রধান। মানুষকে ফাঁদে পেলে টাকা আদায় করায় তাদের একমাত্র কাজ। এর আগেও তারা এমন কাজ করেছে। গ্রেফতার পরবর্তী তাদের কাছ থেকে আমরা তা জানতে পেরেছি।












