শিক্ষক সমাজের কাণ্ডারি। তার শিক্ষায় আলোকিত হয় সমাজের প্রতিটি কর্ণার। তিনি শুধুমাত্র একজন শিক্ষাদাতা নন, তিনি একজন পথপ্রদর্শক, যিনি সঠিক ও ভুলের পার্থক্য বোঝাতে সহায়তা করেন। শিক্ষা যে কেবল বইয়ের জ্ঞান নয়, বরং একজন মানুষের আচার–ব্যবহার, দায়িত্ববোধ এবং সমাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতা তৈরি করা, সেটিও শিক্ষকের হাত ধরেই আসে।
শিক্ষক হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি অন্ধকারে আলোর দিশা দেখান। ছোট্ট শিশুকে স্কুলে প্রথম পাঠ শেখানো থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ধাপে তিনি আমাদের পাশে থেকে শিক্ষা দিয়ে যান। তিনি জ্ঞান বিতরণ করেন, নতুন দিগন্তের সন্ধান দেন এবং নৈতিক মূল্যবোধের বীজ বপন করেন। প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষকের ভূমিকা আমাদের চারপাশের সমাজের প্রতিটি স্তরেই বিরাট প্রভাব ফেলে। একজন শিক্ষক সমাজের মানুষদের কেবল শিক্ষিত করেন না, বরং তাদের মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করেন।
শিক্ষক শুধু একটি পেশার প্রতীক নন, বরং তিনি মানুষের জীবন গঠনের প্রধান ভিত্তি, একটি জাতির উন্নতির অন্যতম স্তম্ভ। পৃথিবীর প্রায় সকল সংস্কৃতিতেই শিক্ষকের মর্যাদা সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করে। শিক্ষকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন আমাদের সংস্কৃতি ও সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। বর্তমান সমাজে দেখা যায় – যে কোনো সরকারের সময়ে শিক্ষকদের উপর বিভিন্নভাবে জুলুম করা হয়, তাঁদের দাবি না শুনে নির্যাতন করা হয়, তাঁদের সম্মানের উপর আঘাত করা হয় – যা মোটেই কাম্য নয়। শিক্ষকদের সম্মান করা এটি শুধুমাত্র একটি সামাজিক নিয়ম নয়, বরং এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
 
        
