পেকুয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মোবাইল নম্বর ক্লোন করে শিক্ষকদের সরকারিভাবে ল্যাপটপ দেয়ার কথা বলে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরামর্শে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, অভিনব প্রতারণায় টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাটি ঘটেছে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম বলেন, গত ১৪ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোবাইল থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয়- জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষকের জন্য একটি করে ল্যাপটপ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দু’টি বিকাশ নম্বর (০১৬৩১-৮৩৩৮৯০, ০১৬৩৭৬৮৮০৮৫) দিয়ে বলা হয় ওই ল্যাপটপ নিতে চাইলে প্রতি ল্যাপটপের জন্য ৯ হাজার টাকা করে বিকাশ নম্বরে পাঠাতে হবে। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষকদের সাথে আলাপ করে প্রথমে দু’জনের নাম দিয়ে টাকা পাঠালে পরবর্তীতে দু’জন করে সর্বমোট ৮ জনের জন্য ৭২ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠাই। পরে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে ফিজিক্যালি দেখা করে আলাপ করতে গেলে বুঝতে পারি আমরা প্রতারণার শিকার হয়েছি।
স্কুল সূত্র জানায়, অভিনব প্রতারণার এ ঘটনায় পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এদিকে একইভাবে পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম মাদরাসার সুপারকেও ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি বিষয়টি আরো নিশ্চিত হতে টাকা দেয়ার আগে উপজেলা নির্র্বাহী অফিসারকে ফোন করলে বিষয়টি ইউএনওর নজরে আসে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোতাছিম বিল্ল্যাহ বলেন, ‘একটি প্রতারক চক্র আমার নম্বর ক্লোন করে অথবা সফটওয়ারের মাধ্যমে সহজ সরল শিক্ষকদের কাছ থেকে লাখ টাকার মতো হাতিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দিয়েছি।’
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুর রহমান বলেন, পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা প্রতারক চক্রকে আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা করছি। তিনি সবাইকে এ ধরণের লেনদেন থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।