গত ২৭ নভেম্বর শনিবার নগরীর স্টেশন রোড এলাকায় বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে বিতর্কের জের ধরে এক স্কুল শিক্ষককে বাস থেকে ফেলে মারার চেষ্টার চারদিন পর কোতোয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। অঙিজেন এলাকা থেকে ৮ নম্বর রুটের একটি বাসে করে নিউমার্কেট আসার পথে স্টেশন রোডে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্কুল শিক্ষক রহমত উল্লাহ (৩৮) বর্তমানে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বাম পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। রহমত উল্লাহ পাঁচলাইশ হাবিবউল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি চট্টগ্রাম প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) প্রশিক্ষণার্থী। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বাসের হেলপার হোসেন (২৫), চালক লিটন (৩২) ও ১৩ বছরের এক কিশোর।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেনেন্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল জানান, শনিবার স্টেশন রোডে একজন স্কুল শিক্ষককে বাস থেকে ফেলে আহত করার ঘটনা ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে সোমবার দুপুরে ১৩ বছরের এক কিশোরকে বায়েজিদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে বায়েজিদের শান্তিনগর থেকে চালক লিটন ও মোহাম্মদনগর থেকে হেলপার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভাড়া নিয়ে বিতর্কের জের ধরে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
এদিকে কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে জানান, ‘বাস থেকে ফেলে স্কুল শিক্ষককে আহত করার বিষয়ে শিক্ষকের বড়ভাই বাদী হয়ে মঙ্গলবার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আটক তিনজনকে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। জড়িত তিনজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছি। তাদের বুধবার সকালে আদালতে হাজির করা হবে।