কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউপি পরিষদ ঘেরাও করে চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতা। এ সময় ব্যাপক বিক্ষোভও করে তারা। এ সময় তারা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নাম ফলক ভাঙচুর ও লাল কালি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় লেখা নামটি মুছে দেন। ছাত্র জনতার আন্দোলনে সশস্ত্র হামলা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে ২য় বারের মতো ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্র–জনতা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র–জনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মো. শওকত আলী, মো. ইকবাল, মো. সাকিব প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর ইউনিয়ন পরিষদে আসার ঘোষণা দিলে আমরা ছাত্র জনতা ও এলাকাবাসী মিলে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছি তাকে প্রতিহত করার জন্য। এ সময় তারা শিকলবাহা ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. নুরুল ইসলাম মেম্বারকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মাসুমা জান্নাত বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান যদি পরিষদে আসতে না পারেন, সেক্ষেত্রে প্যানেল চেয়ারম্যানকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে সেটা সম্পূর্ণ জেলা প্রশাসকের এখতিয়ার। আমরা তাদের দাবি দাওয়াগুলো জেলা প্রশাসনকে জানাবো।