আমানত খান (রহ.)’র সাজ্জাদানশীন মোতওয়াল্লী শাহসুফি আলহাজ্ব শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ খান (ম.জি.আ) বলেছেন, মহান সাধক সুফী হযরত শাহ আমানত (রহ.) ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং আল্লাহর সাধনায় নিজেকে নিবেদন করেছিলেন। তিনি সাদাসিধে জীবন–যাপন করতেন। তার আচার ব্যবহার, চলাফেরা, কথাবার্তায় অমায়িকভাব থাকার কারণে লোকজন তাকে মিয়া সাহেব বলে সম্বোধন করতেন। অল্প আহার, অধিক ইবাদত করা ছিল তাঁর করণীয় কার্যাবলীর মধ্যে অন্যতম। ভক্তদের তিনি হালাল উপার্জন, সত্য জীবন–যাপন, সংযমী এবং ইবাদতে মশগুল থাকার পরামর্শ দিতেন।
তিনি গত বুধবার হযরত শাহসুফি আমানত খান’র (রহ.) পবিত্র বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে সারাদিনব্যাপি বিভিন্ন ধর্মীয় মাহফিল, কোরান তেলওয়াত, খতমে খাজেগান, মিলাদ, আলোচনা সভা ও মুনাজাত পরিচালনার সময় এসব কথা বলেন। নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। লাখো ভক্তের অংশগ্রহণে দেশ–জাতি ও মুসলিম বিশ্বের কল্যাণে মুনাজাত পরিচালনা করেছেন শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ খান (ম.জি.আ)। মোনাজাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং রোগীদের আরোগ্য কামনা করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কামরুল হুদা, শাহজাদা আহমদ উল্লাহ, শাহজাদা হাফেজ মাহমুদুল্লাহ খান, শাহজাদা নুরুল্লা খান, শাহজাদা আহসান উল্লাহ খান, মো: ফিরোজ প্রমুখ।
শাহজাদা ইজাজউদ্দীন আজিম খান : শহর কুতুব হযরত শাহ আমানত খান’র (রহ.) বার্ষিক উরস শরীফের আলোচনায় পীরে তরিকত শাহজাদা হাকিম ইজাজউদ্দীন মুহাম্মদ আজিম খান (ম:জি:আ🙂 বলেন, বৃটিশ শাসনের কবল থেকে চট্টগ্রাম সহ ভারতবর্ষ উদ্ধারে শহর কুতুব হযরত শাহ্ আমানত খান (রহ.) ভূমিকা অনন্য। উক্ত ওরশ শরীফে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদা মুহাম্মদ ফায়াজ আদহাম খান (শাদমান), বাবাজান কেবলার আশেকীন। সর্বশেষে মিলাদ, কেরাম মোনাজাত ও তবারুক বিতরণের মাধ্যমে উরস শরীফ সুসম্পন্ন হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন পীরে তরিকত শাহজাদা হাকিম ইজাজউদ্দীন মুহাম্মদ আজিম খান (ম:জি:আ🙂। পরিশেষে দেশের এ কঠিনকালে আল্লাহর রহমত যেন বর্ষিত হয়ে দেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায়ের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে পারা যায় তার জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন।