ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দুই দফা সময় বাড়িয়ে বন্ধ করে রাখা চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম গতকাল শুরু হয়েছে। দেশি বিদেশি ফ্লাইটও চলাচল করেছে। তবে ঝড়ো আবহাওয়া এবং তুমুল বৃষ্টিতে ৯টি ডোমেস্টিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমানের দুইটি, ইউ এস বাংলার ৫টি, এয়ার এস্ট্রার ১টি এবং নভো এয়ারের একটি। সবগুলো ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসার কথা ছিল। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আসেনি।
গতকাল সকাল থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাভাবিক ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হয়। গতকাল আন্তর্জাতিক ১৩টি ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। এর মধ্যে একটি ফ্লাইট যাত্রা বাতিল করে রাতে চট্টগ্রামে অবস্থান করে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোর মধ্যে ৯টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। বাকি ৭টি ফ্লাইট যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামে আসে এবং যাত্রী নিয়ে ওড়েও গেছে। আগের দিন ১৭ ঘণ্টা বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় বাতিল হয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক এবং ডোমেস্টিক মিলে প্রায় ২০টি ফ্লাইট রিসিডিউল করে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ তাসলিম আহমেদ জানান, আবহাওয়া বিভাগ বিপদ সংকেত কমানোর পরই আমরা স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে ফ্লাইট চলাচলে কিছু সমস্যা হয়েছে।