যাত্রীসেবার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ‘প্যাসেঞ্জার সার্ভিস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন’ কার্যক্রমের আওতায় গত আড়াই বছরে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার ৯২০ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০ কর্মকর্তাকে দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে গতকাল বুধবার সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ট্রেনিং একাডেমির ৩৪তম কোর্সের মাধ্যমে এসব কর্মকর্তাদের যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনে প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী, সনদ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালক (এভসেক পলিসি অ্যান্ড সার্টিফিকেশন, সদরদপ্তর, বেবিচক) ইফতেখার জাহান হোসাইন। সভায় বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থা এবং বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে যাত্রীসেবা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যাত্রীসেবার মান বিশ্বপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার যাত্রা শুরু হলো। আমরা আমাদের দেশের সুনামকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিতে চাই।
প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী বলেন, আজকের সার্টিফিকেট বিতরণ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। যেদিন যাত্রীদের নিকট থেকে একটি অভিযোগও আর পাওয়া যাবে না সেদিনই হবে এই প্রশিক্ষনের প্রকৃত সার্থকতা। উল্লেখ্য, ৩৪ তম কোর্সে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ২০ কর্মকর্তা–কর্মচারী অংশ নেন। পরবর্তীতে বেবিচকের নিজস্ব জনবলের পাশাপাশি এয়ারলাইন্স, কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ বিমানবন্দরের অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তা–কর্মচারীদেরকেও এই কোর্সে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।