নগরীর আকবর শাহ থানার পাহাড়তলী স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলাকালে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাতের গণসংযোগ থেকে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. শাহাদাত বলেছেন, গণসংযোগ করতে তিনি দুপুরে ওই এলাকায় গিয়েছেন, তবে হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন বলেন, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পাহাড়তলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে দিয়ে গণসংযোগে যাচ্ছিলেন। স্কুলটিতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলছিল। কলেজের অধ্যক্ষ অভিযোগ করেছেন, হেঁটে যাওয়ার সময় শাহাদাতের উপস্থিতিতে নেতাকর্মীরা বন্ধ থাকা গেট ধাক্কা দিয়ে খুলে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেন। তিনিসহ কয়েকজন শিক্ষক যারা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে প্রশিক্ষণরত ছিলেন, তারা এসে বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এমনকি অধ্যক্ষকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিম বলেন, প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ চলছিল। বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাতের গণসংযোগ চলাকালে গেটে আমার সাথে করমর্দন করেন। এ সময় তার কিছু সমর্থক জোর করে স্কুলে ঢুকতে চান। আমার কিছু শিক্ষক বাধা দিলে তারা তাদের উপর চড়া হন। কয়েকজনকে ধাওয়া দেন।
এ বিষয়ে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। গণসংযোগকালে আমাদের সাথে অধ্যক্ষের দেখা হয়েছে। করমর্দনও হয়েছে। তবে আমি চলে যাওয়ার পরে কী হয়েছে তা ঠিক জানি না।