আরিয়ান খানকে রেহাই দিতে যে ২৫ কোটি টাকার লেনদেন হতে চলেছে, সে কথা স্বকর্ণে শুনেছিলেন প্রভাকর সইল। তার মধ্যে আট কোটি টাকা যে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনসিবি-র কর্তা সমীরকে দেওয়া হবে, তা-ও তিনি জেনেছিলেন বলে ফের দাবি করলেন সইল। মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী সইল মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন, পুরো কথোপকথনটির প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। চাইলে সেই প্রমাণ তিনি প্রকাশ্যে আনতে পারেন।বেসরকারি গোয়েন্দা কেপি গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সইল সোমবার একটি হলফনামা পেশ করে জানান, তিনি ভুলবশত গোসাভির একটি কথোপকথন শুনে ফেলেছিলেন। যেখানে জনৈক শ্যাম ডি’সুজাকে গোসাভি বলছেন, আট কোটি যাবে এনসিবি-র জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে কাছে। সইলের দাবি, ওই কথোপকথনে আরিয়ানকে মাদক মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকার লেনদেনের কথাও বলেছিলেন গোসাভি। সইল জানিয়েছেন, তিনি টাকার লোভে বা রাজনৈতিক চাপে পড়ে একথা বলেননি। তার হাতে প্রমাণ আছে। গোসাভি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেই তিনি সেই প্রমাণ প্রকাশ্যে আনবেন। এনসিবি কর্মকর্তা সমীরকে ৮ কোটি টাকা দেওয়া নিয়ে সইলের অভিযোগ অস্বীকার করেছিল এনসিবি। সমীরের কলঙ্কমুক্ত কর্মজীবনের কথা জানিয়ে এনসিবি বলেছিল, সইল টাকার লোভে বা অন্য কোনো কারণে মিথ্যে বয়ান দিচ্ছেন। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এনসিবি-র সেই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন সইল। সইল বলেন, গোসাভি আমাকে কোনো টাকা দেননি। গত ৬ সেপ্টেম্বর আমার মেয়ের জন্মদিনে বেতনের ছয় হাজার টাকা দিয়েছিলেন গোসাভি। পরে দুই দফায় ১৫ হাজার এবং তিন হাজার টাকা দেন। তাছাড়া আমি তার থেকে কোনো টাকা নিইনি। কোনো মন্ত্রী আমাকে চাপ দেননি। আমি যা জেনেছিলাম, তা অভিযোগ হিসেবেই মুম্বাইয়ের সহর থানায় জানাই।
এরপর গোসাভি আত্মসমর্পণ করলে বাকি কথা বলব।প্রসঙ্গত, এই গোসাভির সঙ্গেই শাহরুখ-তনয়ের একটি সেলফি আরিয়ানের গ্রেপ্তারি পর ভাইরাল হয়েছিল।