শাহবাগ অবরোধ করে যে দাবি করছে রিক্সাচালকরা

| সোমবার , ২৬ আগস্ট, ২০২৪ at ২:১৭ অপরাহ্ণ

ব্যাটারিচালিত রিক্সাকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে সেটি নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন শত শত পায়ে চালিত রিকশাচালকরা।

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্যাডেল রিক্সাচালকরা শাহবাগে এসে অবস্থান নেন। এতে গুলিস্তান-ধানমন্ডি-ফার্মগেটগামী যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পুলিশ রিক্সাচালকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। তাদের দাবির বিষয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত আসবে। কিন্তু নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক তাদের ছেড়ে দিতে হবে।

রিক্সাচলকরা বলেন, প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা বন্ধে দীর্ঘদিন ধরেই তারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের কথা না শোনায় আজ রাস্তায় নেমে এসেছেন।

তারা আরও বলেন, অটোরিক্সা চালকরা ১০০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা হলেই চলে যায়। তাদের জন্য প্যাডেলচালিত রিক্সাচালকরা যাত্রী পান না এবং ন্যায্য ভাড়া পান না। সারাদিন রিক্সা চালিয়ে তারা পর্যাপ্ত টাকা উপার্যন করতে পারেন না।

পায়ে চালিত রিকশাচালকরা বলেন, অটোরিক্সা চলার অনুমতি নেই ঢাকায়। তারপরও দেদারছে চলছে অটোরিক্সা। পায়ের রিক্সার বৈধতা আছে, নাম্বার আছে। এর জন্য প্রতি বছর ৩০০ টাকা ফি দিতে হয়। এই শেখ হাসিনা অবৈধ অটোরিক্সা চালানোর অনুমতি দিয়ে আমাদের বৈধ রিক্সাকে অচল করে দিয়েছে।

আন্দোলনকারী এক রিক্সাচালকরা বলেন, আমরা প্রতিদিন ২০০ টাকার বেশি আয় করতে পারি না। রিক্সার ভাড়া পরিশোধ করার পরে এবং কিছু চাল কেনার পরে আমাদের পরিবারের জন্য খাবার কেনার মতো পর্যাপ্ত টাকা কাছে থাকে না।

উল্লেখ্য, চলতি বছর মে মাসের ১৫ তারিখ তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অটোরিক্সা বন্ধের নির্দেশ দেন। এরপর বিক্ষোভে নামেন অটোরিক্সা চালকরা। পরে ২০ মে ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার অটোরিক্সা বন্ধের ব্যাপারে নেওয়া সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাতিল করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাল প্রত্যাহার হচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর নিষিদ্ধের আদেশ
পরবর্তী নিবন্ধবন্যায় ভেসে গেলো খামারি কেফায়েত উল্লাহর স্বপ্ন