চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসীদের করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপনের স্থান পরিদর্শন করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। গতকাল পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা সাত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামেও ল্যাব স্থাপন করলে ভালো হয়। ইতোমধ্যে ওই সাত প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রামের জন্য নতুন প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হলে দুবাইয়ে ফাইল পাঠানোর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন আছে। এতে করে চট্টগ্রামের যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অন্য একটা প্রোগ্রাম শেষ করে ঢাকায় যাওয়ার পথে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানের প্রায় ৭০০ যাত্রী যাতায়াত করে এবং ফ্লাই দুবাই থেকে প্রায় ৩০০ যাত্রী আরব আমিরাতে যাতায়াত করে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুটি র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা আছে। চট্টগ্রামের যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বিমানবন্দরে দ্রুত র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা দরকার।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাওলানা মো. আবেদ আলী ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনে অনুমতি পাওয়া সাত প্রতিষ্ঠান হলো স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড ঢাকা, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার।












