জালিয়াতির মাধ্যমে পাঁচ কন্টেনার মদের চালান আমদানির সাথে জড়িত আমদানিকারক, সিএন্ডএফ ও কর্মচারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতে কাস্টমস, সিআইডি, পিবিআই, বাংলাদেশ ব্যাংক, র্যাব ও দুদক প্রতিনিধির সমন্বয়ে টাস্ক ফোর্স গঠনের সুপারিশ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার সদ্য বিদায়ী চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বরাবর এক চিঠির মাধ্যমে এই সুপারিশ করেন।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, অতীতেও বিভিন্ন সময়ে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্তৃক দলিলাদি জাল কিংবা কর্মকর্তা-কর্মচারীর সিল স্বাক্ষর জাল করার মাধ্যমে পণ্যচালান খালাস করার ঘটনা উদঘাটিত হয়েছে। এ সকল ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে জালিয়াতি বন্ধ হবে না। মদের চালানগুলি মিথ্যা ঘোষণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানি ও খালাসের সাথে জড়িত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন ও কঠোর শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করা দরকার। এনবিআর অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কাস্টমস, সিআইডি, পিবিআই, র্যাব, সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করা যেতে পারে। চট্টগ্রাম কাস্টমসে পৃথক একটি এন্টি মানি লন্ডারিং শাখা রয়েছে। এই শাখা হতে মানি লন্ডারিং ঘটার আলামত রয়েছে এ জাতীয় সকল মামলার অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানিকৃত মদের ৫টি চালানের তথ্যসহ নথি মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়েরের জন্য এন্টি মানিলন্ডারিং শাখায় প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মদের পাঁচটি চালান আটকের ঘটনায় গত রোববার ও সোমবার চট্টগ্রাম কাস্টম কর্তৃপক্ষ বন্দর থানায় পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার উপ-কমিশনার মো. সাইফুল হক বলেন, আটক ৫টি চালানের মধ্যে তিনটিতে সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান পণ্য খালাসের জন্য কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন। ওই তিন চালানের মামলায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাদেও সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তাদের কর্মচারীদেরও আসামি করা হয়েছে। যে দুটি চালানে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি তাতে শুধুমাত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে। পাঁচটি মামলা কাস্টমস হাউসের পৃথক ৫ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মামলায় বাদী হন বলে জানান তিনি। মামলায় ১৯৬৯ সালের কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন, বাংলাদেশ পেনাল কোড এবং ১০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ করা হয়।