চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অসুবিধা দূরীকরণের লক্ষ্যে ১৯৮০ থেকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য শার্টল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমান শার্টলের অবস্থা খাপছাড়া। প্রতিদিন ১৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী আসা–যাওয়া করে শার্টলের মাধ্যমে। কিন্তু শার্টলের স্বস্তি পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও শার্টলের সংখ্যা বাড়ে নি, এমনকি শার্টল ট্রেনে বগির সংখ্যাও বৃদ্ধি হয়নি। প্রত্যেকটি বগিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ পাখা আছে কিন্তু পাখা চলার ব্যবস্থা নেই। ফলস্বরূপ প্রচণ্ড গরমে অস্বস্তিকর অবস্থায় যাতায়াত করতে হয়। সব সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো শার্টল সময় সূচি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী পালন না হওয়া। কোনোদিন নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই শার্টল গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলতে শুরু করে, কোনোদিন নির্দিষ্ট সময়ে, আবার কোনোদিন ট্রেন ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হওয়ায় পরও ট্রেন থেমে থাকে। দীর্ঘ এক ঘণ্টার যাতায়াতে ট্রেনের ভিতরে বিশেষ করে ছাঁদে টোকাই সমস্যা বর্তমানে খুবই নেতিবাচক প্রভাব রাখে। টোকাইদের কিছু অংশ ভালো হলেও বেশিরভাগই গাঁজাখোর, চুর, মামলার আসামি, জেল–পলাতক। তারা মোবাইল ছিনতাই, টাকা ছিনতাই ও বিভিন্ন কিছু ছিনতাই–সহ আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানষিক চিন্তার কারণ হয়। এইভাবে দিনের পর দিন করে, মাসের পর মাস ও বছরের পর বছর শাটলে সমস্যা বৃদ্ধি হতে থাকা ছাড়া কমার কোনো ইঙ্গিত আমরা দেখতেছি না। শার্টলে ভোগান্তি দূর লাঘবে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সুমন চৌধুরী
শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।