চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেছেন, শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিকিৎসকসহ চিকিৎসাসেবার কাজে নিয়োজিতদেরকে আরও আন্তরিক হতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মানসিক, অটিজম ও এনডিডি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জনসচেতনতামূলক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এক সময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সর্বত্র সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের পাশে সমাজের বিত্তবানদের দাঁড়াতে হবে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, মানসিক ও অটিজম রোগীদের প্রতি সহনশীল আচরণ করতে হবে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তাদের চিকিৎসা না হলেও কোথায় গেলে তারা চিকিৎসা পাবে ঐ প্রতিষ্ঠান বা ফোকাল পারসনের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে। এসব রোগীদের সনদ পত্র যাতে কেউ নকল বা জালিয়াতি করতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। অন্যান্য রোগের মতো মানসিক রোগেরও আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা রয়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক রোগীকে পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন দিতে হবে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খান। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন আর্বান ডিসপেন্সারীর চিকিৎসক, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নার্স–কর্মচারীগণ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।